ভাষাদিবসে মমতার উপহার, দক্ষিণ দিনাজপুরে হবে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়
ভাষাদিবসের আবহে বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সুসম্পর্কের পক্ষেও সওয়াল করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, `দুই বাংলা মিলেমিশে থাকুক। দুই দেশের সম্পর্ক আরও উন্নত হোক।`
নিজস্ব প্রতিবেদন : আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে দক্ষিণ দিনাজপুরবাসীর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গঙ্গারামপুরে আয়োজিত প্রশাসনিক বৈঠকের সভামঞ্চ থেকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, একটু সময় লাগলেও অদূর ভবিষ্যতেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করবে তাঁর সরকার।
এদিন গঙ্গারামপুরে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামের জন্য ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করার কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি কুশমন্ডিতে আদিবাসী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। নির্যাতিতা কিশোরীকে 'বোন' বলে সম্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, সরকার নির্যাতিতার পাশে রয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই কিশোরীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরকারের তরফে ৪ লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছে। নির্যাতিতাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সবরকমভাবে পাশে থাকবে সরকার।
গঙ্গারামপুর প্রশাসনিক বৈঠকের সভামঞ্চ থেকেই এদিন অমর একুশের ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার ভাষার মাহাত্ম্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, "এশিয়াতে বাংলা ভাষার স্থান দ্বিতীয়। পৃথিবীতে বাংলা ভাষার স্থান পঞ্চম।" শুধু বাংলা নয়, তাঁর সরকার যে প্রত্যেকটি মানুষের মাতৃভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল সেকথাও আজ ফের উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে যে ভাষায় কথা বলেন, "তাঁর কাছে সেটাই প্রাণের ভাষা।" আরও জানান, তাঁর সরকার ইতিমধ্যেই অনেক ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়েছে, ভবিষ্যতেও তা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন, মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যোগ দেওয়ার 'শাস্তি', তৃণমূল কর্মীর হাতে কোপ
শুধু বাংলা বা মাতৃভাষার গুরুত্বের কথাই তুলে ধরা নয়, ভাষাদিবসের আবহে বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সুসম্পর্কের পক্ষেও সওয়াল করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, "দুই বাংলা মিলেমিশে থাকুক। দুই দেশের সম্পর্ক আরও উন্নত হোক।" প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তিস্তা জলবণ্টন ইস্যুতে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক। তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি বাস্তবায়নের উদ্যোগের জন্য মোদীর প্রশংসা করেন হাসিনা মন্ত্রিসভার এই সদস্য।