নিজস্ব প্রতিবেদন : ঠিক একমাস আগে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে রাজ্যের তরফে কাউকে ডাকা হয়নি। রাজ্যকে না জানিয়ে একতরফা উদ্বোধন করায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই ঠিক হয় সার্কিট বেঞ্চের আবার উদ্বোধন করবে রাজ্য। সেইমতো এদিন জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের ফের 'উদ্বোধন' করলেন রাজ্যপাল কেশরী নাথ ত্রিপাঠি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


সার্কিট বেঞ্চের এই অনুষ্ঠানে নাম না করে কেন্দ্রের সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন,"১৯৮৮-তে সিদ্ধান্ত হয়। ২০১২-তে শিলান্যাস করি। আরও আগে হয়ে যেতে পারত সার্কিট বেঞ্চ। কিন্তু হয়নি। অনেকটা সময় লেগে গেল।" এদিনের অনুষ্ঠানের পর আনুষ্ঠানিকভাবে সার্কিট বেঞ্চের কাজ শুরু হবে সোমবার ১১ মার্চ।


আরও পড়ুন, পুলওয়ামা কাণ্ডের জের কাটতে না কাটতেই কলকাতায় উদ্ধার গাড়িবোঝাই বিস্ফোরক!


জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে থাকবে একটা ডিভিশন বেঞ্চ আর দুটি সিঙ্গল বেঞ্চ। ক‍্যালকাটা হাইকোর্টের অ্যাক্টিং প্রধান বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার, বিচারপতি মহম্মদ মুমতাজ খান, অরিন্দম মুখার্জী, মধুমিতা মিত্র ১৫ তারিখ পর্যন্ত প্রথম দফায় সেখানে বসবেন। পরবর্তীতে কোন বিচারপতিদের সেখানে পাঠানো হবে সেটা ঠিক করবে কলকাতা হাইকোর্ট।


আরও পড়ুন, ভোটের আগেই বলছি, ওরা একটাও আসন জিতবে না, বামেদের কটাক্ষ সোমেনের


মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন,  এর আগে ৮৮টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট ছিল। কিন্তু সেই ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টগুলি বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র। এখন রাজ্যের খরচায় কোর্টগুলি চলছে। এর মধ্যে ৫৫টি আদালত মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট বলে জানান তিনি। বিচার ব্যবস্থাকে আরও মসৃণ করার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সঠিক সময়ে মানুষ যাতে বিচার পায়, তা সুনিশ্চিত করার কথা বলেন। পরিকাঠামো উন্নয়নের কথা বলেন তিনি।


আরও পড়ুন, মোদীকে হঠানোর শপথ নিতে নারীদিবসের মঞ্চ থেকে রাজ্যের মহিলাদের ডাক মমতার


পাশাপাশি, এদিন মুখ্যমন্ত্রী বাংলা ভাষায় সওয়াল করার পক্ষেও জোর দেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু ইংরেজি নয়, বাংলাতেও সওয়াল করতে দিতে হবে। বাংলা ভাষায় আইনজীবীদের বলার সুযোগ দিতে হবে। মনের ভাষা প্রকাশ করার সুযোগ দিতে হবে।