নিজস্ব প্রতিবেদন: হাওড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকের আগে আচমকা ঢুঁ মেরেছিলেন হরিজন বস্তিতে। মঙ্গলবার দিঘায় প্রশাসনিক বৈঠকে পর আগাম না জানিয়ে আদিবাসী গ্রামে ঢুকে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী। মাটির ঘরের দাওয়ায় বসে শুনলেন অভাব-অভিযোগের কথা। দিলেন প্রতিকারের আশ্বাস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রশাসনিক বৈঠকের পর আচমকা দত্তপুর গ্রামে ঢুকে পড়েন মমতা। খোঁজখবর নেন গ্রামবাসীদের। হাতের কাছে মুখ্যমন্ত্রীকে পেয়ে এক মহিলা বলেন,'ঘর বানাতে পারছি না দিদি।' তুমি কি খাচ্ছো? রেশনের চাল পাচ্ছো তো? প্রশ্ন করেন মমতা। জবাব আসে,'পান্তা খাচ্ছি দিদি।' বাড়ির লোক কী কাজ করে, জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। উত্তর মেলে, লেবারের কাজ। এরপর মমতা সরকারি আধিকারিককে নির্দেশ দেন,ঘর করে দেবেন তো। দেখুন কী মজা করে ভাত খাচ্ছে! আগে এটাও প্রবলেম হতো।


গ্রামের একটি ঘরে দাওয়ায় চেয়ারে বসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে ধরে কচিকাঁচাদের ভিড়। জানতে চাইলেন, কোন স্কুলে পড়াশুনো করে? গ্রামে মহিলারা বললেন, 'অনেকটাই দূর। জঙ্গল দিয়ে যেতে হয় দিদি।' এরপর চকোলেট বিলি করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। মহিলাদের হাতে তুলে দেন কাপড়। এক মহিলার বিধবা ভাতা অভিযোগ শুনলেন। সঙ্গে সঙ্গে দিলেন প্রতিকারের নির্দেশ। 



দত্তপুর থেকে মমতার কনভয় রওনা দেয় সরকারি আবাসের উদ্দেশে। রাস্তায় সৈকতশহরের সায়েন্স সিটির উল্টোদিকের একটি চায়ের দোকানের সামনে থামে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে পেয়ে 'স্পেশাল চা' খাওয়াতে গিয়ে অনেকটা দেরি করে ফেলেন দোকানি। তখন 'আমি চা করি তো' বলে নিজেই হাত লাগান মমতা। তারপর চা পরিবেশনও করেন। 



এর আগে হাওড়াতেও মমতা প্রশাসনিক বৈঠকের আগে হরিজন বস্তিতে গিয়েছিলেন। সেখানকার হিন্দিভাষী মানুষের সমস্যার কথাও শোনেন। সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশ দেন, স্বাস্থ্যসাথী ও রেশন কার্ডের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। তারপরই পদক্ষেপ করে প্রশাসন। অনেকের মতে, ২০২১ সালের লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল স্তরে পৌঁছতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।   


আরও পড়ুন- গাড়ি দাঁড় করিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে টাকা তুলছে পুলিস, বদনাম হচ্ছি আমরা: মমতা