নিজস্ব প্রতিবেদন : "রং না দেখে গ্রেফতার করুন। যাঁকে যাঁকে প্রয়োজন গ্রেফতার করুন। তিন দিনের মধ্যে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে হবে। কোনও রং দেখার প্রয়োজন নেই।" ভাটপাড়ায় শান্তি ফেরাতে প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, এদিন বিকালে সাংবাদিক বৈঠক করে স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভাটপাড়ায় অশান্তির পিছনে রয়েছে বহিরাগতরা। ভাটপাড়া ও জগদ্দলে বেশকিছু পকেটে বহিরাগতরা ঘাঁটি গেড়েছে। স্থানীয় সমাজবিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এলাকায় অশান্তি ছড়াচ্ছে তারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


আজ নতুন থানা উদ্বোধনের আগে ফের নতুন করে অশান্তি ছড়ায় ভাটপাড়ায়। রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ভাটপড়া। থানার ২০০ গজের মধ্যে চলে বোমাবাজি। শূন্যে ১৫ থেকে ২০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে পুলিস। গুলিবিদ্ধ হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়। গুলিতে নিহত রামবাবু সাউ ফুচকাওয়ালা ও সন্তোষ সাউ মিষ্টির দোকানের কর্মচারী।


ভাটপাড়ায় অশান্তির ঘটনায় এরপরই নবান্নে জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব মলয় দে। বৈঠকে ভাটপাড়ার ঘটনায় প্রবল ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন অচলাবস্থা কাটছে না ভাটপাড়ায়? নবান্নে জরুরি বৈঠকে প্রশ্ন করেন ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। অশান্ত ভাটপাড়ায় শান্তি ফেরাতে অস্ত্র উদ্ধারে স্পেশাল ড্রাইভ চালানোর নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


আরও পড়ুন, অপরাধীদের ধর্মীয় রং না দেখে কড়া ব্যবস্থা নিন, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি মুসলিম নাগরিকদের একাংশের


এরপরই সাংবাদিক বৈঠক করে স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্য সরকার ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের অন্তর্গত ভাটপাড়া ও জগদ্দলে আইনশৃঙ্খলার অবনতিতে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে। ভাটপাড়া ও জগদ্দল থানা এলাকায় জারি করা হচ্ছে ১৪৪ ধারা। এডিজি সাউথ বেঙ্গল সঞ্জয় সিংকে ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের বিশেষ তদারকি ভার দিয়ে ভাটপাড়ায় পাঠানো হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রসচিবের সাংবাদিক বৈঠকের পরই ডিজি বীরেন্দ্র ফের ভাটপাড়া যান।