"আমি কিন্তু কখনও করোনা এক্সপ্রেস বলিনি"
"বাইরের রাজ্য থেকে যাঁরা আসছেন, তাঁদের এখন থেকে ৭ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। ৭ দিন পর রিপোর্ট না এলেও, সবাই বাড়ি চলে যেতে পারবেন। পরে রিপোর্ট পজিটিভ এলে, সরকার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে।"
নিজস্ব প্রতিবেদন : 'করোনা এক্সপ্রেস' মন্তব্য নিয়ে অমিত শাহের অভিযোগ খারিজ করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি কিন্তু কখনও করোনা এক্সপ্রেস বলিনি। আমি বলেছি পাবলিকের কথা। যদি লকডাউন ঘোষণার আগে ৩ দিন সময় নিয়ে শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে, তারপর লকডাউন ঘোষণা করা হত, তাহলে বোধহয় এমন অবস্থা সৃষ্টি হত না। ট্রেনের সংখ্যা না বাড়িয়ে, যে ট্রেনে ১২০০ লোক ধরে, সেখানে ২০০০-৩০০০ লোককে একসঙ্গে পাঠানো হচ্ছে।"
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ভার্চুয়াল পশ্চিমবঙ্গ জনসম্পর্ক সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হুঁশিয়ারি দেন, 'করোনা এক্সপ্রেস-ই হবে আপনার প্রস্থান পথ।' অমিত শাহ অভিযোগ করেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফিরতে বাধা দিচ্ছে বাংলার সরকার। নামমাত্র হাতেগোনা ট্রেন চালিয়েছে। আরও বলেন, "মমতা দিদি, করোনা এক্সপ্রেস নাম দিয়েছিলেন আপনি, আপনার দেওয়া এই নামই হবে আপনার প্রস্থান পথ। আপনি পরিযায়ী শ্রমিকদের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিয়েছেন। তাঁরা এটা কখনও ভুলবেন না।" প্রসঙ্গত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, "শ্রমিক স্পেশালের নামে করোনা এক্সপ্রেস চালাচ্ছে কেন্দ্র।"
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, "১১ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক এখনও পর্যন্ত এসে গিয়েছেন। আগে বলেছিলাম ২২৫টা ট্রেন, এখন বলছি ২৫৫টা ট্রেন আসবে সব মিলিয়ে। ২০ থেকে ২২টা ট্রেন আসা এখনও বাকি আছে। আরও ৩০ হাজার মানুষ আসা এখনও বাকি আছে। যাঁরা ট্রেনে আসছেন।" একইসঙ্গে তিনি বলেন, "বাইরের রাজ্য থেকে যাঁরা আসছেন, তাঁদের সোয়াব টেস্ট করতে কিছুটা তো সময় লাগবে। তাই যাঁরা ওই ৫টি রাজ্য থেকে আসছেন, তাঁদেরকে এতদিন ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখা হত। তবে এখন থেকে এটা আমরা ৭ দিন করছি। ৭ দিন পর যদি রিপোর্ট নাও আসে, তবে তাঁরা সবাই বাড়ি চলে যেতে পারবেন। পরে রিপোর্ট পজিটিভ এলে, তাঁদের চিকিৎসার সবরকম ব্যবস্থা সরকার করবে।"
এখনও পর্যন্ত ৭ কোটি শ্রমদিবস তৈরি করা হয়েছে বলেও এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, সবাইকে মাস্ক পরে থাকার জন্য অনুরোধ করেন। বলেন, "অনেকে দেখছি মাস্ক পরছেন না। সবাইকে অনুরোধ করছি, মাস্ক পরুন। নিজেদেরকে একটু নিজেদের দেখতে হবে।"
আরও পড়ুন, ভিড় এড়াতে সরকারি অফিসে কাজ হবে ২ শিফটে, বেসরকারিতে ওয়ার্ক ফ্রম হোমে জোর