নিজস্ব প্রতিবেদন: শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের টার্গেট এখন পূর্ব মেদিনীপুর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবার শুভেন্দুর(Suvendu Adhikari) শক্ত ঘাঁটি কাঁথিতে একটি বিশাল জনসভা করেন সৌগত রায়(Sougata Roy) ও ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim)। ওই সভায় শুভেন্দু অধিকারীর নাম করে কড়া ভাষায় তাঁকে আক্রমণ করেন তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতা। এমনকি শুভেন্দুকে বিশ্বাসঘাতক বলতেও ছাড়াননি সৌগত। এবার আসরে নামছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)।


আরও পড়ুন-বেঁচে গিয়েছি, Suvendu চলে যাওয়ায় খুশি রাজ্যের TMC কর্মীরা: Firhad Hakim


তৃণমূল সূত্রে খবর শুভেন্দুর শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত নন্দীগ্রামে এবার সভা করবেন মমতা। একুশের নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে নতুন বছরের শুরুতে প্রচারে ঝড় তুলতে বেছে নিলেন নন্দীগ্রামকেই। আগামী ৭ জানুয়ারি তৃণমূল নেত্রীর ওই সভা হবে নন্দীগ্রামের তেখালিতে। শুভেন্দু দল ছাড়ার মেদিনীপুরে কিছুটা হলেও চাপে তৃণমূল। নন্দীগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্য়েই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ দানা বাঁধছে তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশের মধ্যে। এখন ৭ জানুয়ারির সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে সেই ক্ষোভকে কাজে লাগান বা কী বার্তা দেন সেটাই এখন দেখার।


আরও পড়ুন-'TMC ৫০টি আসন পেরোতে পারবে না,' বাড়িতে শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাতের পর Mukul


নন্দীগ্রাম আন্দোলনের শুরু থেকেই উত্তাল হয়েছিল নন্দীগ্রাম, খেজুরি, তেখালি, ভাঙাবেড়ার মতো জায়গা। 'জমি দখলের' বিরুদ্ধে কৃষকদের সংঘটিত করতে শুভেন্দু অধিকারী তৈরি করেন ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। সেই কমিটির তলাতেই শুভেন্দুর পাশে এসে আন্দোলন তীব্র করেছিলেন আবু সুফিয়ান, আবু তাহেরের মতো নেতারা। ২০০৩ সালে এই তেখালিতেই গুলিচালনায় মৃত্যু হয় বেশ কয়েক জনের। তার পরেই আন্দোলন নতুন চেহারা নেয়। রাজ্নৈতিক মহলের ধারনা এই কারণেই সভাস্থল হিসেবে তেখালিকেই বেছে নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।