বেঁচে গিয়েছি, Suvendu চলে যাওয়ায় খুশি রাজ্যের TMC কর্মীরা: Firhad Hakim
নন্দীগ্রামের(Nandigram) আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে ফিরহাদ বলেন, আন্দোলন করেছিল সুফিয়ানরা। আর নেতা হয়েছিলেন শুভেন্দু।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পর কাঁথিতে তাঁর খাস তালুকেই গিয়ে শক্তি প্রদর্শন করল তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার কাঁথিতে সৌগত রায় ও ফিরহাদ হাকিমের সভায় নাম করে শুভেন্দুকে তুলোধনা করলেন তাঁর প্রাক্তন দুই সহকর্মী।
কাঁথির ভরা সভায় শুভেন্দুকে নিশানা করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ধান্দাবাজির জন্য, নাকি জেলে যাওয়ার ভয় কীসের জন্য দল ছাড়লেন আপনি তা ভবিষ্যতই বলবে। কিন্তু ঈশ্বর যা করেন তা মঙ্গলের জন্যই করেন। এখানে না এলে এই মুক্ত বাতাসটা টেরই পেতাম না। কোলাঘাট থেকে যখন ঢুকছি তখন থেকেই তা টের পেয়েছি। সবাই বলছেন, আমরা বেঁচে গিয়েছি।
আরও পড়ুন- ফেসবুকে আলাপ, চাকরির দেওয়ার নাম করে হোটেলে নিয়ে গিয়ে খুন?
ফিরহাদ বলেন, শুভেন্দুবাবু আপনার লজ্জা লাগে না! যে কৃষকের আন্দোলন করছেন বলে আপনি দাবি করেন, সেই কৃষককে যারা বিক্রি করে দিতে চাইছে তাদের হাত ধরছেন! তিনটে কৃষি আইন(Farm Laws) এনেছে কেন্দ্র। একটা হল, কৃষকের মাল যে কোনও কর্পোরেট কিনতে পারবে। কৃষকের কোনও দাম থাকবে না। যে দাম কর্পোরেট দেবে সেই দামেই তাকে বিক্রি করতে হবে। অর্থাত্ কৃষকের ফসলের ওপরে কোনও অধিকার থাকবে না। দ্বিতীয়ত, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন তুলে দেওয়া হল। বাইরে থেকে মাল আসবে, এখান থেকে মাল যাবে। দাম বেড়ে যাবে। একটা সময় আসবে যখন ছোট ছোট আড়তদার, কৃষি বাজার উঠে যাবে। কৃষকরা প্রবল ক্ষতির সম্মুখীন হবে। এক সময় কৃষকের জমি কর্পোরেটের হাতে চলে যাবে। কৃষকরাই নিজেদের জমিতে শ্রমিক হয়ে যাবে। এর প্রতিবার এখন সারা ভারতে হচ্ছে। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন সেই বিজেপির হাত ধরলেন আপনি!
শুভেন্দুকে নিশানা করে ফিরহাদ আরও বলেন, আপনি কৃষি আন্দোলন করেছিলেন। কৃষকের স্বার্থে তাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন! আর সেই আপনি অমিত শাহকে(Amit shah) কী বললেন! আমাকে একটু ঠাঁই দাও। আমার যে কুকর্ম সেগুলোকে সব তুমি সরিয়ে দাও। তোমার পায়ের তলায় আশ্রয় নেব। শুভেন্দুকে এক সময়ের সহকর্মী বলতে লজ্জা লাগে এখন।
আরও পড়ুন-AJC Bose উড়ালপুলে দুর্ঘটনা, গাড়ি উল্টে গুরুতর আহত ২৫
নন্দীগ্রামের(Nandigram) আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে ফিরহাদ বলেন, আন্দোলন করেছিল সুফিয়ানরা। আর নেতা হয়েছিলেন শুভেন্দু। সেই শুভেন্দু অমিত শাহরে পা ধরল। এটা দেখার থেকে আমার মৃত্যু ভালো ছিল। আপনার দল পরবিবারতন্ত্রের কথা বলে। অমিত শাহর ছেলে জয় শাহ কীভাবে বিসিসিআইয়ের(BCCI) পদে! কৈলাস বিজয়বর্গীয়(Kailash Vijayvargiyo) ছেলে কী নেতা নন! অনুরাগ ঠাকুরের বাবা মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না! শিশির অধিকারীর ছেলে না হলে কেউ আপনাকে চিনত না। শুভেন্দু চলে যাওয়ায় রাজ্যের তৃণমূল কর্মীরা খুশি।