'ভুল না শোধরালে হাজার মিটিংয়েও কিচ্ছু হবে না', নেতা-কর্মীদের কড়া দাওয়াই দলনেত্রীর
"কলকাতা থেকে নেতারা আসবে, ইন্ধন দেবে, তারপর হবে?"
নিজস্ব প্রতিবেদন: "এক ডজন সিটের জন্য দশ ডজন নেতা। আমাকে বলতে পারবেন, মালদার নেতারা কবে ঐক্যবদ্ধ হবে?" গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ইস্যুতে প্রশাসনিক সভা থেকে মালদার দলীয় নেতা-কর্মীদের এদিন তুলোধনা করলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তৃণমূল নেত্রীর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, "ভুল সংশোধন না করলে, হাজারটা মিটিং করেও কিচ্ছু হবে না।"
আজ প্রকাশ্য সভায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "মালদায় কখনও সিট পাইনি। যদিও একাধিকবার এসেছি। মালদার মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা নেই কেন? কী আমাদের দুর্বলতা? কলকাতা থেকে নেতারা আসবে, ইন্ধন দেবে, তারপর হবে? অন্য জেলায় তো এরকম হয় না। এই তো মুর্শিদাবাদে এবার আমরা সবকটা সিট পেলাম। কারণটা কী, জানতে চাই। হিন্দু-মুসলামনে ভাগাভাগি হলে, মৌসম তো মুসলমান, কেন জিতল না? যে কোনওদিন কোনওকিছু করল না, জিতল সে। আর যে মেয়েটা ঘুরে বেরাল, সে নয়। এখানে আমি বড় নেতা, উনি বড় নেতা, এটা করতে নেই। ভোটের সময় কী হয়? আন্ডারস্ট্যান্ডিংটা কী হয়? ভোট চলে যায় অন্য জায়গায়। কারণটা জানি আমি। এতদিন ধরে রাজনীতি করছি, কারণটা জানব না। ইচ্ছে করলে ১০ জন নেতাকে ডেকে মিটিং করতাম, কিন্তু যতক্ষণ মালদা পুনরুদ্ধার না হয়, ততদিন করব না।"
আরও পড়ুন, 'দিল্লিতে কারোর ডেঙ্গি-করোনায় মৃত্যু হয়নি, নজর ঘোরাতেই আতঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে'
আরও পড়ুন, 'গোলি মারো সা**কো'কে সমর্থন মুকুল রায়ের!
এদিন সভা থেকে জেলার পুরসভা অনুসারে ওয়ার্ড ভিত্তিক দায়িত্ব ভাগ করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, "এখানে একজনের দ্বারা হবে না। তাই আপনাদের দায়িত্ব দিচ্ছি।" প্রসঙ্গত, মালদার ১২টি বিধানসভা কেন্দ্রেই পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। গত লোকসভা ভোটে জেলার ২টি আসনের একটিতে জয় পেয়েছে কংগ্রেস, অন্যটিতে বিজেপি। তৃণমূল দাগও কাটতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। একুশের ভোটে মালদা যে তৃণমূল নেত্রীর বড় মাথাব্যথার কারণ হতে চলেছে, তা এদিনের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাতেই স্পষ্ট।