ফেডারেল ফ্রন্টেই আস্থাশীল মমতা
জি-২৪ ঘণ্টার সাক্ষাত্কারের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী আরও একবার একটি বিষয় পরিস্কার করলেন, যে আঞ্চলিক দলগুলিকে দুর্বল ভাবলে চলবে না। তিনি বলেন, ‘সব আঞ্চলিক দলই এখন শক্তিশালী। তারা বড় ফ্যাক্টর হিসাবে কাজ করছে। সবাইকে বাদ দিয়ে কংগ্রেস এককভাবে কিছুই করতে পারবে না।’’
নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০১৯-এ সরকার গঠনে কে নেতৃত্ব দেবে? সেক্ষেত্রে কিন্তু অ-বিজেপি, অ কংগ্রেস ফেডারেল ফ্রন্টের ওপরই আস্থশীল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জি ২৪ ঘণ্টার সম্পাদক অনির্বাণ চৌধুরীর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় আবারও সেকথা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কংগ্রেসকে বাদ দিয়েও জোট করে লড়লেও কি বিজেপিকে হারানো সম্ভব? সে প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কংগ্রেস ও বিজেপির সঙ্গে সমদূরত্ব রেখে আঞ্চলিক দলগুলির জোট। দেশের স্বার্থে এই জোট হওয়া উচিত।’’
জি-২৪ ঘণ্টার সাক্ষাত্কারের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী আরও একবার একটি বিষয় পরিস্কার করলেন, যে আঞ্চলিক দলগুলিকে দুর্বল ভাবলে চলবে না। তিনি বলেন, ‘সব আঞ্চলিক দলই এখন শক্তিশালী। তারা বড় ফ্যাক্টর হিসাবে কাজ করছে। সবাইকে বাদ দিয়ে কংগ্রেস এককভাবে কিছুই করতে পারবে না।’’
মুখ্যমন্ত্রী আবারও বলেন, ‘‘আঞ্চলিক দলগুলি এক হলে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করতে পারবে, তা বৃহত্তর স্বার্থে প্রযোজ্য হবে। তারা পলিটিক্যালিও স্ট্রং হবে।’’ তিনি আরও একবার মনে করিয়ে দেন, কোনও আঞ্চলিক দলকেই নগন্য ভাবলে ভুব হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে বিজেপি-আরএসএসকে হারাতে সম-মনোভাবাপন্ন দলগুলির সঙ্গে বাস্তবসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে অভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করতে উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মার্চ মাসেও ফেডারেল ফ্রন্ট নিয়ে মমতার সঙ্গে বৈঠক করেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী। কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে সেদিন নবান্নে ছিলেন কেশব রাও। এবারও কি আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে সেতুবন্ধের কাজ করতে চলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? ইঙ্গিত মিলল বটে তবে উত্তরটা সময়ের অপেক্ষাই।