মনুয়াকাণ্ড: নৃশংস হত্যালীলার সাজা ঘোষণা আজ, 'ফাঁসি চাই' পোস্টারে ছয়লাপ আদালত চত্বর

২০১৭-র ২ মে প্রেমিক অজিতের সঙ্গে পরিকল্পনা করে পেশায় ট্রাভেল সংস্থার কর্মী স্বামী অনুপম সিংহকে খুন করে স্ত্রী মনুয়া। মোট ৩১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

Updated By: Jul 25, 2019, 02:04 PM IST
মনুয়াকাণ্ড: নৃশংস হত্যালীলার সাজা ঘোষণা আজ, 'ফাঁসি চাই' পোস্টারে ছয়লাপ আদালত চত্বর

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্য থেকে বিদেশে আলোড়ন ফেলে দেওয়া মনুয়াকাণ্ডের সাজা ঘোষণা আজ। সাজা ঘোষণা করবে বারাসতের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। প্রেমিক অজিত ওরফে বুবাইয়ের সঙ্গে পরিকল্পনা করে স্বামী অনুপম সিংকে খুনে অভিযুক্ত স্ত্রী মনুয়া। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন বারাসতবাসী। টোটোয় করে চলছে মাইকিং, লাগানো হয়েছে পোস্টারও। বাংলাদেশ থেকে এসেছেন অনুপমের পরিবারের লোকেরা। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব তাঁরা। 'অনুপমের খুনিদের ফাঁসি চাই'-এর দাবিতে পোস্টারে পোস্টারে ছয়লাপ হয়ে রয়েছে গোটা আদালতে চত্বর।

উল্লেখ্য, ২ বছর ধরে মনুয়া হত্যাকাণ্ড মামলার শুনানি পর্ব চলে। এরপর ১৫ জুলাই মামলার রায়দান করা হবে বলে প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছিল। কিন্তু সেদিন অজ্ঞাত কারণে রায়দান স্থগিত হয়ে যায়। এরপর স্থির হয় ২৫ জুলাই অর্থাত্ আজ রায়দান করা হবে। ছক কষে প্রেমিককে দিয়ে স্বামীকে খুন, ফোনের ওপার থেকে স্বামীর আর্ত চিত্কার স্ত্রী মনুয়ার 'লাইভ' শোনা, নৃশংস হত্যালীলা সামনে আসতেই শিউরে উঠেছিল গোটা রাজ্য। ২০১৭-র ২ মে প্রেমিক অজিতের সঙ্গে পরিকল্পনা করে পেশায় ট্রাভেল সংস্থার কর্মী স্বামী অনুপম সিংহকে খুন করে স্ত্রী মনুয়া।

তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে ঠান্ডা মাথায় স্বামী অনুপমকে হত্যার ছক কষেছিল মনুয়া। খুনের দিন কয়েক আগেই বাপেরবাড়ি চলে গিয়েছিল মনুয়া। খুনের দিন অনুপমের বাড়িতে লুকিয়ে ছিল প্রেমিক অজিত। এরপর অনুপম বাড়ি ফিরতেই পিছন থেকে তাঁর মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে অজিত। তাতেই লুটিয়ে পড়ে অনুপম। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অনুপম সিংহের। এদিকে এই গোটা সময়টা অজিতের সঙ্গে ফোনে ছিল মনুয়া। ফোনে স্বামীর আর্ত চিত্কার শুনেই তাঁর মৃত্যু সম্বন্ধে নিশ্চিত হয় মনুয়া।

আরও পড়ুন, জানলার বাইরে হাত, টালিগঞ্জে পিলারে ধাক্কা খেয়ে বাসযাত্রীর হাত 'ছিঁড়ে' নর্দমায় পড়ল

খুনের পরেও নির্বিকার ছিল মনুয়া। খুনের ১৩ দিন পর অনুপম হত্যায় মূল অভিযুক্ত স্ত্রী মনুয়া ও প্রেমিক অজিতকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন ও তথ্যপ্রমাণ লোপাট প্রভৃতি ধারায় মামলা রুজু করে পুলিস। ২ বছর ধরে চলে শুনানিপর্ব। মনুয়া মামলায় মোট ৩১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

.