নিজস্ব প্রতিবেদন: এবার 'মন খারাপ' প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Prasun Banerjee)। দলের বিরুদ্ধে রীতিমতো অভিমান ঝরে পড়ল হাওড়ায় তৃণমূল সাংসদের গলায়। Zee ২৪ ঘণ্টাকে ফোনে জানালেন, 'দলের সাংগঠনিক পরিবর্তনে কথা যদি কেউ ফোনে বা এসএমএসে জানাত, তাহলে গর্বিত হতাম।'  'দলকে জানাতে পারতেন', প্রতিক্রিয়া জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী অরূপ রায়ের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাংসদ শতাব্দী রায়কে (Satabdi Roy) নিয়ে শুক্রবার দিনভর নাটক চলে। শেষপর্যন্ত সেই নাটকে যবনিকা পড়ে রাতে। কুণালের ঘোষের (Kunal Ghosh) মধ্যস্থতায় মান ভাঙে বীরভূমের তৃণমূল সাংসদের। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) পর বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত সুর বদলে ফেলেন শতাব্দী। সাংবাদিকদের জানান, 'সব অভিযোগ জানিয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই রাজনীতিতে আসা। দিদির পাশেই আছি। দিল্লি যাচ্ছি না।' পাশ থেকে কুণাল ঘোষ জানিয়ে দেন,'শতাব্দী দলেই থাকছেন।' 


আরও পড়ুন: বাংলায় ভোটার তালিকা থেকে প্রায় ৬ লক্ষ নাম ছাঁটল Election Commission


উল্লেখ্য,  শনিবার দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল শতাব্দী রায়ের (Satabdi Roy)। তার আগে এ দিন জল্পনা বাড়িয়ে শতাব্দী (Satabdi Roy) বলেন,'অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলা বা না বলাটা বিরাট ব্যাপার নয়। আমি এমপি, উনি মিনিস্টার, দেখা করতেই পারি।' এরপরই শতাব্দীর মানভঞ্জনে তৎপর হয় তৃণমূল নেতৃত্ব। একের পর এক তৃণমূল নেতা ফোন করেন সাংসদকে। শতাব্দীর বাড়িতে যান কুণাল ঘোষ। কুণালই  (Kunal Ghosh) শতাব্দীকে নিয়ে যান ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) অফিসে।


আরও পড়ুন: অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকের পর ইউটার্ন Satabdi-র, যাচ্ছেন না দিল্লি


শতাব্দীকে নিয়ে যখন স্বস্তির হাওয়া তৃণমূলের অন্দরে, ঠিক তখনই মুখ খুললেন দলের আর এক সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় (Prasun Banerjee)। Zee ২৪ ঘণ্টাকে ফোনে তিনি বলেন, 'হাওড়ার দলের কর্মসূচির অনেক খবর দেওয়া হয় না।'  এমনকী, তৃণমূল কর্মসূচি থেকে বাদ দেওয়া হয় খোদ এলাকার সাংসদকেই!  প্রসূনের আরও অভিযোগ, সদ্য পদত্যাগী মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা যখন হাওড়া জেলার সভাপতি হন, তখন সে খবর তাঁকে জানানো হয়নি। সাংসদের একটাই দাবি, 'দলের সাংগঠনিক পরিবর্তনে কথা যদি কেউ ফোনে বা এসএমএসে জানাত, তাহলে গর্বিত হতাম।'  কী বলছে তৃণমূলের হাওড়া জেলা নেতৃত্ব? হাওড়া সদরের জেলা সভাপতি অরূপ রায় বলেন, 'লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে সভাপতির করার সিদ্ধান্ত রাজ্য তৃণমূলের। দলকে জানানোর দরকার ছিল। এভাবে সাংবাদিকদের বলে ভালো করেননি।'