নিজস্ব প্রতিবেদন : বিজেপি (BJP) নেতা মুকুল রায়ের (Mukul Roy) মুখে সিঙ্গুরে টাটার ন্যানো প্রকল্পের কথা। ফের ভুল শোধরানোর বার্তা। এদিন নন্দীগ্রামের (Nandigram) সভায় ফের সিঙ্গুর থেকে টাটার ন্যানো (TATA Nano) প্রকল্প বিদায়ের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন মুকুল রায়। বলেন, "বার বারই মনে হয় সিঙ্গুর আন্দোলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গ দিয়ে আমরা বাংলার যুব সমাজের সঙ্গে অন্যায় করেছি। টাটাকে তাড়িয়ে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করব টাটাকে যাতে সিঙ্গুরে ফিরিয়ে আনা যায়।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকবারই সিঙ্গুর আন্দোলন, টাটা কারখানা বিদায় নিয়ে আফশোস করতে শোনা গিয়েছে মুকুল রায়কে (Mukul Roy)। কদিন আগে সিঙ্গুরে গিয়েও তাঁকে আক্ষেপ করতে শোনা গিয়েছিল। বলেছিলেন, "যেভাবে আন্দোলন করে টাটাকে (TATA) তাড়িয়েছে, তাতে বাংলায় শিল্পের পথ অবরূদ্ধ হয়ে গিয়েছে। সিঙ্গুরে (Singur) পা দিলেই একটা পাপ বোধ হয়।" এদিন নন্দীগ্রামের সভা থেকেও সিঙ্গুর প্রসঙ্গে মুকুল রায়ের গলায় শোনা গেল আফশোস, আক্ষেপ।


আরও পড়ুন, '১৮-র উত্তর দেব ১৯-এ', Nandigram-এর সভা থেকে ঘোষণা Suvendu-র


উল্লেখ্য, ২০০৬-এ সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানা (Nano Factory) তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় তত্কালীন বাম সরকার। কারখানার জন্য টাটা মোটর্সকে (TATA Motors) জমি দিয়েছিল। সিঙ্গুরের (Singur) মাটিতে শুরু হয়ে গিয়ছিল কারখানা তৈরির কাজও। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে তৃণমূলের (TMC) প্রবল আন্দোলনের চাপে শেষমেশ ২০০৮-এ সিঙ্গুরে প্রকল্প বাতিল ঘোষণা করে পাততাড়ি গুটায় টাটা গোষ্ঠী। সিঙ্গুর থেকে ন্যানো কারখানা সরিয়ে নিয়ে যায় গুজরাটের সানন্দে।


তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই সিঙ্গুর আন্দোলনে নম্বর টু ছিলেন মুকুল রায় (Mukul Roy)। কিন্তু শিবির বদলের পর সেই মুকুল রায়ের মুখেই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সিঙ্গুর আন্দোলনের সমালোচনা। এপ্রসঙ্গে বলে রাখি, দিন কয়েক আগে সিঙ্গুরে অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দীর্ঘ ১০ বছর পর সিঙ্গুরে রাজ্য সরকার ফের শিল্প স্থাপনের ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ায় কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী শিবিরও।


আরও পড়ুন, গ্রাউন্ড জিরো রিপোর্ট : মাটির নীচে কংক্রিটের কাঠামো, ১২ বছর পেরিয়েও Singur-এ চাষবাস বিশ বাঁও জলে


এপ্রসঙ্গে বিজেপি (BJP) নেতা মুকুল (Mukul Roy) বলেন, "শেষে চৈতন্য হয়। কোনও চৈতন্যই সঠিক সময়ে হয় না। এতদিনে বুঝতে পারলেন, ওই জমিতে চাষ হবে না। অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রি মানুষ বোঝেই না! ইন্ডাস্ট্রি শব্দটা জুড়ে দিলে মানুষকে বিভ্রান্ত করাটা সহজ হয়। নতুন সরকার ভাববে, ওই জমিতে কী হবে!"