পিলারের চারপাশে দেওয়া হচ্ছে পাথর ও লোহার জালি, শুরু হল সেবক করোনেশন ব্রিজ সংস্কার

 ১৯৩৭ সালে তৈরি হয়েছে। মোটামুটি এই সেতুর বয়স প্রায় ৮৩ বছর। 

Edited By: সুদেষ্ণা পাল | Updated By: Aug 3, 2020, 01:19 PM IST
পিলারের চারপাশে দেওয়া হচ্ছে পাথর ও লোহার জালি, শুরু হল সেবক করোনেশন ব্রিজ সংস্কার
ফাইল ফোটো

নিজস্ব প্রতিবেদন : অবশেষে কাজ শুরু হয়েছে সেবকের করোনেশন সেতুর।  প্রায় ৮৩ বছরের বেশি পুরনো কালিম্পং জেলার ঐতিহ্যবাহী এই সেবক করোনেশন সেতু। সেতুটির পিলারের মাটি সরে গিয়েছিল বহুদিন আগে। সেতুর পিলারের মাটি সরে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছিল। ডুয়ার্সের সঙ্গে শিলিগুড়ির যোগাযোগের মূল মাধ্যম ছিল এই সেবক করোনেশন ব্রিজ। অবশেষে সেবক সেতুর সেই ক্ষতিগ্রস্ত পিলার মেরামতির কাজ শুরু করল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, প্রায় ৫০ লাখেরও বেশি টাকা ব্যয় করে করোনেশন সেতুর পিলার সংস্কারের কাজ হচ্ছে।

সেবক সেতুর পিলারের নীচে পাথর বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। তিস্তার জল যাতে পিলারের আর ক্ষতি করতে না পারে, সেই জন্য পিলারের চার পাশে পাথর এবং লোহার জালি বসিয়ে পিলারকে প্রোটেকশন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। মালবাজারের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ডুয়ার্স ফোরাম ফর সোশ্যাল রিফর্ম-এর সম্পাদক চন্দন রায় বলেন, "এটা ১৯৩৭ সালে তৈরি হয়েছে। মোটামুটি এই সেতুর বয়স প্রায় ৮৩ বছর। ২০১১ সালে একটা ভুমিকম্প হয়েছিল। সেই সময় এই সেতুর সামান্য ক্ষতি হয়েছিল।  এরপর সরকারিভাবে এই সেতুর উপর দিয়ে ভারী গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, এই সেতুর ওপর যেন দ্বিগুণ ভারী গাড়ি চলাচল করছে।" 

তিনি অভিযোগ করেন, "দেখার কেউ নেই। আমরা চাইছি প্রশাসন এই সেতুর দিকে নজর দিক। যাতে এই সেতুকে বাঁচিয়ে রাখা যায়।" পাশাপাশি, সেবকে দ্বিতীয় বিকল্প সেতুর দাবি জানান তিনি। কারণ বর্তমান যে করোনেশন সেতু রয়েছে, তার বয়স হয়েছে। তাই পুরনো সেতুর উপর চাপ কমাতে দ্বিতীয় বিকল্প সেতুর দাবি জানান তিনি। চন্দন রায় বলেন, "এই সেতুকে  রক্ষণাবেক্ষণ করে সৌন্দার্যায়ন করা যেতে পারে। এতে পর্যটকদের আনাগোনা আরও বাড়বে। সেবকের রেল সেতুর পাশ দিয়ে দ্বিতীয় সড়ক সেতু হোক। এতে করোনেশন সেতু যেমন রক্ষা পাবে, তেমনই ডুয়ার্সের সঙ্গে শিলিগুড়ির যোগাযোগ আরও মসৃণ হবে। যাতায়াতের ঝুঁকি কমবে।" 

আরও পড়ুন, বৃষ্টি নেই, মাটি শুকিয়ে কাঠ, আমন ধান চারা রোপণই করতে পারছেন না কৃষকরা

.