নিজস্ব প্রতিবেদন: শীতলকুচিকাণ্ডে পুলিসের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেদিন বুথ লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। দরজা ভেদ করে গুলি লাগে ব্ল্যাকবোর্ডে! তেমনই অনুমান CID-র। জানা গিয়েছে, ব্ল্যাকবোর্ডে একটি চিহ্ন পাওয়া দিয়েছে। সেটি গুলির চিহ্ন বলে মনে করা হচ্ছে। ঠিক কী ঘটেছিল? তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে।  


দেখতে দেখতে দু'মাসের বেশির সময় পেরিয়ে গিয়েছে। ১০ এপ্রিল, চতুর্থ দফার ভোটের দিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহারের শীতলকুচি। জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথে ব্যাপক গণ্ডগোল শুরু হয়। গণ্ডগোল থামাতে গিয়ে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। অভিযোগ, বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়।


ঠিক ঘটেছিল সেদিন? তদন্তে নেমেছে সিআইডি বিশেষ টিম। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিআইএসএফ(CISF)-এর দুই অফিসার-সহ ছয় জওয়ানকে করা হয়েছিল। যদিও করোনার অজুহাতে হাজিরা এড়িয়ে যান তাঁরা। তবে সেক্টর অফিসার এএসআই রাফা বর্মন এবং QRT অফিসার এএসআই সুব্রত মণ্ডলকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন CID-র তদন্তকারীরা। বাদ যাননি মাথাভাঙা থানার তদন্তকারী অফিসারও।

 


 

সম্প্রতি শীতলকুচির  জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথে যান সিআইডি-র তদন্তকারী। স্রেফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করাই নয়, সেদিন ঘটনার পুর্ননির্মাণও করা হয়। আর তাতেই উঠল এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সত্যিই বুথ লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা? এবার তা খতিয়ে দেখবেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। অকুস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা। আগামিকাল অর্থাত্‍ সোমবার হবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা।

 


প্রসঙ্গত, শীতলকুচিকাণ্ডের পর খোদ কোচবিহারের পুলিস সুপার সাফাই দিয়েছিলেন, সেদিন উন্মত্ত জনতা কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলা চালিয়েছিলেন। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল যে, আত্মরক্ষার স্বার্থে গুলি চালাতে হয় জওয়ানদের। সেটাই যদি হয়, তাহলে বুথ লক্ষ্য করে গুলি কেন? প্রশ্ন উঠছে।