Digha New Species: মুর্মুর নামে নাম, দিঘার বিচে বালির ভিতর মিলল ক্যাপসুলের মত দেখতে অবাক করা নতুন প্রাণী!
নতুন প্রাণীটিকে নিয়ে এখন গবেষণায় ব্যস্ত গবেষকরা। দিঘা মেরিন অ্যাকোরিয়াম অ্যান্ড রিজিওন্যাল রিসার্চ সেন্টারের বিজ্ঞানী প্রসাদ টুডু জানান, প্রাণীটিকেও আশ্চর্যজনকভাবে পাওয়া যায় প্রাণীটিকে।
কিরণ মান্না: দিঘার সমুদ্র সৈকতে মিলল নতুন প্রজাতির প্রাণীর খোঁজ। দেশের রাষ্ট্রপতির নামে হল নামকরণ। নাম দেওয়া হল মেলানোক্ল্যালমিস দ্রৌপদী। ওল্ড দিঘার হাসপাতাল ঘাট থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে নতুন প্রজাতির এই প্রাণীটিকে। এই বিশেষ সামুদ্রিক প্রাণীটিকে উদ্ধারের পর রাষ্ট্রপতির নামে নামকরণ করা হয় তাঁকে সম্মান প্রদর্শন করে। বর্তমানে ওল্ড দিঘার মেরিন অ্যাকোয়ারিয়ামে প্রাণীটিকে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
দিঘার বুকে নতুন প্রজাতির এই অমেরুদণ্ডী প্রাণীর খোঁজ মেলায়, স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত গবেষকরা। দিঘার সমুদ্রে মেলা এই নতুন প্রাণীটিকে নিয়ে এখন গবেষণায় ব্যস্ত গবেষকরা। দিঘায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্যও নতুন আকর্ষণ হতে চলেছে অ্যাকোরিয়ামে সংরক্ষণ করে রাখা এই প্রাণীটি। যদিও এখন প্রাথমিকভাবে সাধারণ দর্শকদের জন্য এটি প্রদর্শন করা হবে না। এখন আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে। তবে এই নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিজ্ঞানী মহলে। জানা গিয়েছে, নতুন প্রজাতির এই অমেরুদণ্ডী প্রাণীটি দেখতে দেখতে খানিকটা ক্যাপসুলের মত। আকারে ৭ মিলিমিটার। বাইরের নরম বাদামি অংশের নীচে নরম একপ্রকার খোল রয়েছে এই সামুদ্রিক প্রাণীটির। তবে কোনওভাবেই সাধারণ শামুকের মতো মোটেও দেখতে নয়।
ইতিপূর্বে ওল্ড দিঘা থেকে উদয়পুর সৈকত পর্যন্ত ২ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে নতুন প্রজাতির হেড শিল্ড সামুদ্রিক স্ল্যাগের দেখা পাওয়া গিয়েছিল। জানান জুওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ‘ম্যালাকোলজিক্যাল সোসাইটি অ্যান্ড সোসাইটি ফর দি স্টাডি অফ মোলুস্কান ডাইভারসিটি’-র একটি জার্নালে। জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অধীনস্থ দিঘা মেরিন অ্যাকোরিয়াম অ্যান্ড রিজিওন্যাল রিসার্চ সেন্টারের বিজ্ঞানী প্রসাদ টুডু জানান, একইরকমভাবে এই প্রাণীটিকেও আশ্চর্যজনকভাবে পাওয়া গেল। দিঘার বিচের বালির আস্তরণের ভিতর দিয়ে চলছিল এই প্রাণীটি, সেখান এটিকে থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রাণীটি লম্বায় ৭ মিলিমিটার। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে নানা ধরনের সামুদ্রিক প্রাণীদের খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হলে পর্যটকদের জন্য দেখার সুযোগ করে দেওয়া হবে।