প্রসেনজিত্ সরদার: ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস স্মরণীয় হয়ে রইল ক্যানিংবাসীর জন্য। স্বাধীনতার ৭৫ পূর্তিতে নতুন স্টেশন পেল ক্যানিংবাসী। ১৫ অগাস্টের দিন উদ্বোধন হল ক্যানিংয়ের নতুন স্টেশনের। নাম মাতলা হল্ট। ক্যানিংয়ের নতুন স্টেশন। স্থানীয় মানুষজন যে স্টেশনটিকে চাঁদখালি হল্ট নামে পরিচিতি দিয়েছিল। সেই স্টেশনটি-ই নতুন নামে পথচলা শুরু করল আজ। তাই চাঁদখালি নয়, মাতলা-ই হল ক্যানিং আর তালদির মধ্যবর্তী স্টেশন। ইতিমধ্যেই রেলের তরফ থেকে এটি সরকারি নির্দেশিকা এই মর্মে ইস্যু করা হয়েছে। সেখানে স্টেশনটির মাতলা নামকরণ করা হয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ক্যানিংয়ের ঐতিহ্যবাহী এবং সুন্দরবনের ভয়ংকরতম নদী ছিল মাতলা। মাতলার রূপ এতটাই ভয়ংকর ছিল যে, তার জন্য এই নদী স্থান পেয়েছে ইতিহাসের পাতাতেও। ব্রিটিশ আমলে এই মাতলা নদীকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল বাণিজ্য নগরী ক্যানিং। রাইস মিল, বন্দর সবকিছুই তৈরি হয়েছিল মাতলা নদীকে কেন্দ্র করে। কালের নিয়মে অবশ্য হারিয়ে গেছে মাতলার গভীরতা। মাতলা এখন মৃতপ্রায় এক জলধারা যা প্রতি মুহূর্তে ইতিহাসকে সাক্ষী রেখে বয়ে চলেছে। সেই ঐতিহাসিক মাতলা নদীকেই এবার রেলস্টেশনের পাতাতে স্থান দিতে তৎপর রেল কর্তৃপক্ষ।  শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার অন্তিম স্টেশন ক্যানিং। আর তার আগের স্টেশন তালদি। এই দুই স্টেশনের মধ্যবর্তী নতুন স্টেশনের নামকরণ করা হল মাতলা নদীর নামে। ক্যানিং থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার আর তালদি থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই নতুন স্টেশনটি।


আরও পড়ুন, Azadi Ka Amrit Mahotsav: স্বাধীনতার ৭৫ পূর্তিতে 'সাগর' সুরক্ষায় ভারতীয় নৌসেনার ভূবনজুড়ে উদযাপন, দেখুন ছবিতে


ক্যানিং থেকে তালদির দূরত্ব অনুযায়ী এটাই ছিল শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার সব থেকে বেশি দূরত্বে অবস্থিত দুটি স্টেশন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখনই এই এলাকায় একটি নতুন স্টেশনের দাবি তোলেন স্থানীয় মানুষজন। সেই দাবি মেনে তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন। তারপর অবশেষে কাজ শুরু হয়। কাজ শেষ করতে প্রায় এক যুগ কেটে যায়। রেলের তরফে প্রথম দফায় স্টেশনের নাম দেওয়া হয় চাঁদখালি হল্ট। তবে এবার থেকে নতুন নাম। এখন থেকে মাতলা নামেই পরিচিতি পাবে স্টেশনটি। এই নাম পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে নতুন সাজে সেজে উঠেছে এই স্টেশন। ক্যানিংয়ের বিধায়ক পরেশরাম দাস বলেন, কেন্দ্র সরকার যখন রাজ্যে নতুন কোনও স্টেশনের কাজ করে, তখন রাজ্যের কাছ থেকে কিছু নামের প্রস্তাব চাওয়া হয়। সেইমতো রাজ্য সরকার চাঁদখালি নয়, মাতলা নামটি রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। মাতলা যেহেতু একটি ইতিহাস প্রসিদ্ধ নদী, তাই স্টেশনের নাম মাতলা হওয়ায় খুশি সকলেই।


সোমবার ১৫ অগাস্ট থেকেই ৪টি আপ ও ডাউন ট্রেন থামবে এই মাতলা স্টেশনে। বেশ সাজিয়ে-গুছিয়ে তোলা হয়েছে স্টেশনটিকে। টিকিট কাউন্টার, পানীয় জলের ব্যবস্থা, শৌচালয়ের সুবন্দোবস্ত, ওভারব্রিজ তৈরি করা হয়েছে নয়া স্টেশনে। বসানো হয়েছে রং-বেরংয়ের গাছও। সবমিলিয়ে সেজে উঠেছে মাতলা স্টেশনটি। এর আগে মাতলা নদীর বুকে একটি ব্রিজ তৈরি হয়, যার নামকরণও করা হয়েছিল মাতলা নদীর নামেই। ক্যানিং পূর্ব ও পশ্চিমের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্য মাতলা নামে আরও একটি ব্রিজও তৈরি হচ্ছে। এবার মাতলা নামে নতুন রেলস্টেশন।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)