Pink Moon: মধ্যরাতের আকাশে অভাবনীয় দৃশ্য, আজই দেখা মিলবে গোলাপি চাঁদের
ইংরেজিতে পিঙ্ক শব্দের অর্থ গোলাপি হলেও আজ চাঁদের রং গোলাপি নয়, কিছুটা কমলা রং ঘেষা। পিঙ্ক মুন`কে উদয় এবং অস্ত যাওয়ার সময় কমলা বলে মনে হবে। এপ্রিল মাসে আমেরিকার উত্তরের অঞ্চলগুলিতে `পিঙ্ক ফ্লক্স` নামের একটি বনফুল ফোটে। তার আভার সঙ্গে সাযুজ্য় রেখেই এপ্রিল মাসে পূর্ণিমার চাঁদকে `পিঙ্ক মুন` বলা হয়।
অয়ন ঘোষাল: বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের আকাশে দেখা মিলবে গোলাপি চাঁদ অর্থাৎ পিঙ্ক মুনের (Pink Moon)।যারা জ্যোৎস্না রাত পছন্দ করেন তাদের জন্য আজ একেবারে আদর্শ দিন। একে পূর্ণিমা তায় মেঘ মুক্ত আকাশ। তাই মধ্যরাতের কিছু পরেই রাতের আকাশে উদয় ঘটবে 'পিঙ্ক মুন'-এর। ইংরেজিতে পিঙ্ক শব্দের অর্থ গোলাপি হলেও আজ চাঁদের রং গোলাপি নয়, কিছুটা কমলা রং ঘেষা। এই নামের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মানুষের বিশ্বাস ও সংস্কৃতি। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা বেজে ৩৪ মিনিটে চাঁদকে পূর্ণরূপে অর্থাৎ পিঙ্ক মুন হিসেবে দেখা যাবে ।
আরও পড়ুন, SSC Scam: লং মার্চে এসে সাঁকরাইলে গ্রেফতার ১৩ গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থী
পিঙ্ক মুন'কে উদয় এবং অস্ত যাওয়ার সময় কমলা বলে মনে হবে। পজিশনাল অ্যাস্ট্রোনমি কলকাতার বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তর পেরিয়ে আমাদের চোখে এসে পড়ে চাঁদের আলো। এ ক্ষেত্রে নীল আলোর অপেক্ষাকৃত ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্য বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন কণার সংস্পর্শে এসে বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়। আবার তুলনামূলক দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের লালচে এবং কমলা আলো তুলনামূলকভাবে সহজেই বায়ুমণ্ডল পার করে চোখে এসে পড়ে। তাই চাঁদকে হালকা কমলা বলে মনে হয়। যার পোশাকি নাম পিঙ্ক মুন। ৬ এপ্রিলের পর আগামী ৫ মে ফের পূর্ণিমার চাঁদ চোখে পড়বে।
এপ্রিল মাসে আমেরিকার উত্তরের অঞ্চলগুলিতে 'পিঙ্ক ফ্লক্স' নামের একটি বনফুল ফোটে। তার আভার সঙ্গে সাযুজ্য় রেখেই এপ্রিল মাসে পূর্ণিমার চাঁদকে 'পিঙ্ক মুন' বলা হয়। যেমন- স্প্রাউটিং গ্রাস মুন, এগ মুন, ফিশ মুন ইত্যাদি। ইহুদিরা একে পিসাক বা পাসওভার মুনও বলে। শুক্রবার থেকে রবিবার তাদের পাসওভার নামে ছুটি থাকে। খ্রিস্টানদের মধ্যে এটিকে পাসকাল চাঁদ (Paschal Moon) বলা হয়। এই চাঁদ আসার পরই ইস্টারের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
ওয়াশিংটনে নাসার (NASA) সদর দফতরের বিজ্ঞান মিশন ডিরেক্টরেটের প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ গর্ডন জনসন বলেছেন যে, আমরা এই সপ্তাহান্তকে ফুল মুন সপ্তাহান্ত বলতে পারি। পূর্ণ চন্দ্র , বা ফুল মুন, মাসে একবার ঘটে, যখন সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ একটি কাল্পনিক ১৮০ -ডিগ্রি রেখায় পড়ে।
আরও পড়ুন, Bengal Weather: উত্তাপ বাড়ছে শহরে, দক্ষিণবঙ্গে ঊর্ধ্বমুখী পারদ, উত্তরে ফের বৃষ্টির আশঙ্কা