নিজস্ব প্রতিবেদন : "প্রত্যেক বিধায়ককে নিজের বিধানসভায় জিততেই হবে। তাই নিবিড় জনসংযোগ করুন। জানি কোভিড সংক্রমণ রয়েছে। তার মধ্যেও সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে জনসংযোগ করতে হবে। জনবিরোধী কার্যকলাপ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হতে হবে। রেল ও কয়লার বেসরকারিকরণ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের যে পদক্ষেপ নিচ্ছে তা সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হবে। এলাকায় মানুষের কাছে গিয়ে বলতে হবে রাজ্য সরকার কী কাজ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার কীভাবে রাজ্যকে বঞ্চনা করেছে।  পেট্রোল-ডিজেলের দাম যেভাবে দিন দিন বাড়ছে তা নিয়ে বুথে বুথে প্রতিবাদ সংগঠিত করতে হবে। দলীয় নির্দেশ মেনে সব কর্মসূচি পালন করতে হবে বিধায়কদের। বিধায়কদেরই দায়িত্ব নিতে হবে।" এদিন তৃণমূল নেতৃত্বকে  কড়া নির্দেশ দিলেন দলনেত্রী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একইসঙ্গে তাঁর স্পষ্ট ও কড়া বার্তা, "আমফান দুর্যোগে ত্রাণ নিয়ে যাঁরা দুর্নীতি করেছেন, তাঁদের কোনওভাবে ছাড়া হবে না। প্রধান হোক বা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, দুর্নীতির প্রমাণ হলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। কেউ যেন তাদের বাঁচানোর চেষ্টা না করেন। দুর্নীতিগ্রস্ত কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা যেন না করা হয়। প্রয়োজনে নতুন নেতা হবে। কিন্তু দুর্নীতির সঙ্গে আপোস নয়।"


এদিন দলীয় নেতৃত্বকে ফের গোষ্ঠীকোন্দল ভুলে সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, "উত্তরবঙ্গের নেতারা সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করুন। পরস্পরের সঙ্গে আলোচনা করে গুরুত্ব দিয়ে কাজ ভাগ করে নিন। বিজেপি নেতারা রাস্তায় নামছেন। সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার করছে। মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। আপনারা ঘরে চুপচাপ বসে আছেন কেন? সামাজিক দূরত্ব মেনে আপনারাও প্রচার করুন। তারা যে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে সেগুলি তুলে ধরুন।"


আরও পড়ুন, বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ২০,০০০; রেকর্ড মৃত্যু গত ২৪ ঘণ্টায়