Nupur Sharma Prophet Row: হাওড়ার মতো অশান্তি বরদাস্ত নয়! অন্যান্য জেলায় পৌঁছল নবান্ন'র কঠোর নির্দেশ
জানা গিয়েছে, হাওড়ার মতো অশান্তি শুরু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিন ২৪ পরগনা এবং মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু জায়গায়। সেখানেও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করে একদল দুষ্কৃতী। তাই আগে ভাগে সতর্ক প্রশাসন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হাওড়ার গণ্ডি ছাড়িয়ে বেশ কয়েকটি জেলায় অশান্তি ছড়িয়ে পড়ছে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগে অন্য জেলাগুলোকে সতর্ক করল রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর। আর বৈঠক করে অন্য জেলা প্রশাসককে সতর্ক করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিব।
জানা গিয়েছে, হাওড়ার মতো অশান্তি শুরু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিন ২৪ পরগনা এবং মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু জায়গায়। সেখানেও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করে একদল দুষ্কৃতী। তাই আগে ভাগে সতর্ক প্রশাসন। শনিবার নবান্নে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিব। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে হাওড়ার অবস্থা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি, অন্য প্রশাসনকেও সতর্ক করা হয়েছে। প্রশাসনের শীর্ষ স্তর থেকে এদিন একগুচ্ছ নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, কোথাও জমায়েত হলে কঠোর হাতে মোকাবিলা করার নির্দেশ দিওয়া হয়েছে। গাড়ি,বাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করলে গ্ৰেফতারির কথা বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে মুর্শিদাবাদস বেলডাঙা, রেজিনগরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধও করে দেওয়া হয়েছে।
গণ্ডগোলের জেরে শনিবার হাওড়ার পুলিস কমিশনার বদল করা হয়েছে। হাওড়ার নয়া পুলিস কমিশনার হচ্ছেন প্রবীণ ত্রিপাঠী। হাওড়া গ্রামীণ পুলিস জেলার নয়া সুপার করা হয়েছে স্বাতী ভাঙ্গালিয়াকে। শনিবার সকালে পাঁচলায় একটা দলের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, একাধিক বাড়ি, দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনও কারণ ছাড়াই ভাঙচুর করা হয়েছে। বোমাবাজিরও অভিযোগ উঠেছে। ভয়ে এলাকা ছাড়া বাসিন্দারা। শুক্রবারও একই ভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পাঁচলা। কোনও প্ররোচনা ছাড়াই তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছিল একাংশের বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, মহম্মদ পয়গম্বর নিয়ে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্য। বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে অঙ্কুরহাটিতে অবরোধ করা হয়। এরপর তা বাড়তে থাকে। সন্ধের মধ্যে ১০৬ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং কোনা এক্সপ্রেসওয়ে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে যায়। এরপর শুক্রবার সকালে থেকেই উত্তপ্ত হয়ে যায় পার্কসার্কাস, উলুবেড়িয়া, পোর্টের কাচ্চি সড়ক রোড।