নিজস্ব প্রতিবেদন:   রাজ্যে ভূমিকম্পের বলি ১।  মৃতের নাম সম্রাট দাস।  বছর বাইশের সম্রাট  শিলিগুড়ির বাসিন্দা।  স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পের সময়ে তিনি বহুতলে ছিলেন। কম্পন অনুভূত হওয়ার পরই তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দ্রুত বহুতল থেকে সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসতে থাকেন।  পায়ের ভারসাম্য হারিয়ে হুড়মুড়িয়ে পড়ে যান তিনি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় তাঁর।  সম্রাট ইতিহাসে স্নাতক ছিলেন। বর্তমানে বিএড পড়ছিলেন। শিক্ষকতার ইচ্ছা ছিল তাঁর। বাড়ির পোষ্যকে নিয়ে দৌড়ে সিড়ি থেকে নামার সময়ে পা পিছলে পড়ে যান তিনি। মাথায় চোট লাগে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যু হয় তাঁর। অন্যদিকে, শিলিগুড়িতেই একটি বাড়িতে ভূমিকম্পের জেরে ফাটল ধরেছে বলে খবর এসেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: জামাই শ্বশুরকে ফোন করে শুধু 'বাবা' বলেছিলেন, তাতেই বিপদ জানান দিয়েছিল!


বুধবার সকাল ১০.২০ মিনিটে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে অসম, উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা।  কলকাতাতেও বেশ ভালো ভাবে কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৫।  ২০-২৫ সেকেন্ট কম্পন অনুভূত হয়।  জানা গিয়েছে, অসমের কোকরাঝাড়ে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৩ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উত্সস্থল।


 



আরও পড়ুন:  পাত্রী দেখতে গিয়ে তাঁর বাড়িতে বারাকপুরের পাত্র যা ঘটালেন, তা এই রাজ্যে কেন দেশে কোথাও আগে ঘটেনি!


বিশেষত উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই কম্পন বেশি বোঝা যায়।  সিকিম, মেঘালয়, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদহে বেশ ভালো কম্পন অনুভূত হয়।  কেঁপে ওঠে মুর্শিদাবাদও।



দিনের একেবারেই ব্যস্ত সময়। অফিস-কাছারি, স্কুল কলেজের জন্য রওনা দিয়েছেন সবাই। কেউ বা অফিস পৌঁছেও গিয়েছিলেন। আচমকাই কম্পনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সকলে।  সল্টলেক তথ্য প্রযুক্তি তালুকেও একই চিত্র। বহু মানুষ আতঙ্গে বহুতলের নীচে জড়ো হন।