Howrah: হাওড়ার গ্যাস সিলিন্ডারকাণ্ডে গ্রেফতার কারখানার মালিক, ঘটনাস্থলে আসবে ফরেনসিক টিম...
Cylinder Blast in Howrah: কারখানায় কাজ করার সময়ে মঙ্গলবার সিলিন্ডার ফেটে গুরুতর জখম হন চার শ্রমিক। ঘটনার তদন্তে নেমে কারখানার মালিককে গ্রেফতার করল বেলুড় থানার পুলিস। তাঁকে হাওড়া আদালতে পেশ করা হয়।
দেবব্রত ঘোষ: বেলুড়ে কারখানায় কাজ করার সময়ে গতকাল, মঙ্গলবার সিলিন্ডার ফেটে গুরুতর জখম হন চার শ্রমিক। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে সেই কারখানার মালিক প্রদীপ মিশ্রকে গ্রেফতার করল বেলুড় থানার পুলিস। আজই তাঁকে হাওড়া আদালতে পেশ করা হয়। ঘটনাস্থলে আসবে ফরেনসিক টিম।
আরও পড়ুন: Ayodhya: রামমন্দিরে রক্তপাত? কেন গুলি চলল রামলালার চোখের সামনে?
পুলিসসূত্রে জানা গিয়েছে, বেলুড় ভিক্টোরিয়া মার্কেটে যেভাবে ওই কারখানায় লোহা কাটাইয়ের কাজ হত, তা বিপজ্জনক। যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু সব জেনেও মালিক আগে থেকে কোনও ব্যবস্থা নেননি। যে কারণে মালিকের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে। কারখানাটি আপাতত সিল করে দিয়েছে পুলিস। ঘটনাস্থলে আসবে ফরেনসিক টিম।
কী ঘটেছিল?
বেলুড় থানার অন্তর্গত ডা: এস কে চ্যাটার্জি স্ট্রিট ভিক্টরিয়া মার্কেটে মঙ্গলবার একটি লোহার কারখানা ও গোডাউনে সিলিন্ডার ফেটে জখম হন চারজন শ্রমিক। বিস্ফোরণের তীব্রতায় কেঁপে উঠেছিল কারখানা-চত্বর। কর্মরত চারজন শ্রমিক গুরুতর জখম হন। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তাঁরা। এঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্থানীয়রাই জখম শ্রমিকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান বলে খবর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল বেলুড় থানার পুলিস ও দমকলকর্মীরা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন হাওড়া কর্পোরেশনের প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য রেয়াজ আহমেদ। এই কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেন তিনি। হাওড়া সিটি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (নর্থ) বিশপ সরকার জানিয়েছিলেন, তদন্ত শুরু করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তদন্তের স্বার্থে আপাতত ওই কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছিল, একটি সিলিন্ডার ব্যবহার করে লোহা কাটাইয়ের কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। সেই সময়ে এই বিপত্তি ঘটে।
আরও পড়ুন: Severe Heatwave in Delhi: শুকিয়ে কাঠ দেশ! দহনে মৃত্যু ১৫! 'মেঘ দে পানি দে'র আর্তিতেই মিশল আর্তনাদ...
গতকালই এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছিলেন যখন এই ঘটনা ঘটে তখন কারখানা কর্তৃপক্ষ জখম শ্রমিকদের উদ্ধার করার বদলে অফিসে তালা লাগিয়ে তড়িঘড়ি চম্পট দেন। বেশ কিছুক্ষণ ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় মাটিতে পড়ে ছিলেন আহতরা। তাঁরাই ওঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।