Bardhaman: বর্ধমানে রেলের অনুষ্ঠানে বিধায়কের উপস্থিতির 'বাধা' হয়ে দাঁড়াল 'দিদির সুরক্ষাকবচ'?
Bardhaman: ফের রাজনৈতিক তরজা। এবার রেলের অনুষ্ঠান ঘিরে। ঘটনাস্থল বর্ধমান স্টেশন। সেখানে রেলের এসকালেটর আর ভিডিয়ো ওয়ালের উদ্বোধন কর্মসূচি ঘিরে এই রাজনীতি-তরজা। বিজেপি সাংসদের কর্মসূচিতে এলেন না দুই তৃণমূল বিধায়ক। এই নিয়ে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর।
পার্থ চৌধুরী: ফের রাজনৈতিক তরজা। এবার রেলের অনুষ্ঠান ঘিরে। ঘটনাস্থল বর্ধমান স্টেশন। সেখানে রেলের এসকালেটর আর ভিডিয়ো ওয়ালের উদ্বোধন কর্মসূচি ঘিরে এই রাজনীতি-তরজা। বিজেপি সাংসদের কর্মসূচিতে এলেন না দুই তৃণমূল বিধায়ক। এই নিয়ে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর। আজ, শনিবার বর্ধমান স্টেশনে ৮ নম্বর প্লাটফর্মের চলমান সিঁড়ির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিল। ছ'টি ভিডিয়ো ওয়ালও চালু হয় এদিন থেকেই। এই অনুষ্ঠানে দুটি প্রকল্পেরই সূচনা করেন সাংসদ এস এস অহলুওয়ালিয়া। উপস্থিত ছিলেন পূর্ব রেলের ডিআরএম মণীশ জৈন। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস ও বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ মালিক। কিন্তু তাঁরা আসেননি।
আরও পড়ুন: Cow Smuggling: অনুব্রতর রাঁধুনির অ্যাকাউন্টে ৬০ লাখ টাকা লেনদেন! 'ওর তো পাসবই নেই', তাজ্জব বাবা
আমন্ত্রণপত্রে এবং ফলকেও খোকন দাস ও নিশীথ মালিকের নাম ছিল। কিন্তু তাঁরা আসেননি। এদিন এ প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ এস এস অহলুওয়ালিয়া বলেন-- আমরা আমাদের কর্তব্য করেছি। সৌজন্য দেখিয়েছি। ওঁরা এলে ভাল লাগত। আমি ওঁদের সঙ্গে কথা বলব।
কেন আসেননি তাঁরা?
আরও পড়ুন: Jitendra Tiwari Arrested: কম্বলকাণ্ডে গ্রেফতার জিতেন্দ্র তিওয়ারি, নয়ডা গিয়ে বিজেপি নেতাকে ধরল পুলিস
বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথকুমার মালিক টেলিফোনে বলেন, রেলের পক্ষ থেকে তাঁকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু 'দিদির সুরক্ষাকবচ' কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি তিনি। বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস অবশ্য উল্টো কথা বলেন। তিনি জানান, ''আমি কোনও আমন্ত্রণপত্র পাইনি। আমি যখন 'দিদির সুরক্ষাকবচে'র অনুষ্ঠানে পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে যাচ্ছিলাম তখন শুনলাম অনুষ্ঠান হচ্ছে। সাংসদ বক্তব্য রাখছেন। কিন্তু আমি জানি না, কী অনুষ্ঠান ছিল বা কোথায় অনুষ্ঠান ছিল।''
এদিন ফলকে নাম থাকা সত্ত্বেও আমন্ত্রিত দুই বিধায়কের অনুপস্থিতি নিয়ে সাংসদ এস এস আহলুওয়ালিয়া অনুযোগ এবং ক্ষোভপ্রকাশ করেন। এর প্রতিক্রিয়া জানান পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস। তাঁর কথায়, কেন্দ্রীয় সরকারের অনুষ্ঠানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিরোধীদের ডাকা হয় না। আজ উত্তর বর্ধমানের বিধায়কের অন্য কাজ থাকায় ওখানে যাননি। বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথকুমার মালিক জানিয়েছেন, রেলের পক্ষ থেকে তাঁকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছিল, তবে দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি তিনি। তবে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস জানিয়েছেন, 'তিনি ওই কর্মসূচির কথা জানতেনই না!' দক্ষিণের বিধায়ক তো আমন্ত্রণই পাননি, সেটা তিনি জানিয়েও দিয়েছেন।
প্রসেনজিৎ দাস আরও বলেন, 'ওখানে বিজেপি সাংসদের নামে, বিজেপির নামে জয়ধ্বনি হয়েছে। আমাদের বিধায়করা গেলে অস্বস্তিতে পড়তেন। জানা গিয়েছে, এদিন রেলের ওই অনুষ্ঠান চলাকালীন কয়েকজন মোদীজি ও সাংসদের নামে জয়ধ্বনি দিয়েছিলেন। এ নিয়ে কিছুটা রক্ষণাত্মক সাংসদ এস এস অহলুওয়ালিয়া। তিনি বলেন, ওখানে অনেক লোক ছিলেন। কেউ আমাকে কালো পতাকাও দেখাতে পারতেন। তবে মোদীজি তো প্রধানমন্ত্রী। রেলের পুরনো ওভারব্রিজ ভেঙে দেওয়ায় যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছে, তা নিয়ে রেলকে বলবেন বলেও জানান সাংসদ।