প্রসেনজিৎ মালাকার: হঠাৎই খবর এল। ২২ দিনের লড়াই শেষ হয়েছে। প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। বিভিন্নমহলে শোকের ছায়া। রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। সিউড়ির এই ছোট্ট বাড়িতেও তখন শোকের ছায়া। রাজনৈতিক সম্পর্ক নয়, তাঁর সঙ্গে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির সেই কলেজ বেলার সখ্যতা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কত স্মৃতি! সব যেন একের পর এক চোখের সামনে ভেসে উঠছিল সিউড়ির বাসিন্দা ষষ্ঠী কিঙ্কর দাসের। সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজ, ক্যান্টিনের আড্ডা, হোস্টেলের দিন সব স্মৃতি এখনও যেন তরতাজা। বন্ধুর কথা বলতে বলতে দু-চোখ ততক্ষণে জলে ভরে গিয়েছে।


আরও পড়ুন:  প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির মহাপ্রয়াণে শোকস্তব্ধ বর্তমান! 'প্রণবদা'কে হারিয়ে ব্যথিত অমিত শাহ


প্রাক্তণ রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছবি আঁকড়ে বন্ধুর স্মৃতিচারণ ও দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছিলেন তিনি। প্রণববাবুর ছোটবেলার পরমবন্ধু ষষ্ঠী কিঙ্কর দাস। ছোটবেলায় সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজে একই সঙ্গে পড়াশোনা করেছেন, থেকেছেন একই হোস্টেলে। আজ বন্ধুকে হারিয়ে শোকে বিহ্বল প্রণব মুখার্জির কলেজের বন্ধু। খবর পাওয়ার পর থেকেই বাধ মানেনি চোখের জল। দু-চোখ ভরা জলেই মনে মনে বন্ধুকে শেষ বিদায় জানাচ্ছেন বছর ৮৫-র বৃদ্ধ।


এর আগেও প্রয়াত দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির কলেজ বেলার বিভিন্ন কথা বলেছিলেন তাঁর এই বন্ধুই। কলেজে পড়াকালীন ভূতকে ভীষণই ভয় পেতেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। কলেজে পড়া থেকে শুরু করে শেষ জীবন পর্যন্ত বন্ধুদের ভালোবাসতেন খুব, যোগাযোগ ছিলই। তবে আজ সেসব বন্ধন ছেড়ে গেলেন প্রণববাবু। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে চোখ ভিজছে বন্ধুর। গলাও বুজে এল প্রায়। বন্ধু নেই, স্মৃতিটুকুই থাক। বলছেন ষষ্ঠীবাবু।