বরফ গলে জল! হাওড়ায় মিছিলে পাশাপাশি অরূপ-প্রসূন, নেই রাজীব-লক্ষ্মী
অনুপস্থিত নেতৃত্বের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে অরূপ রায় বলেন, `সবাইকেই আমন্ত্রণ করা হয়েছে। দলের কর্মীরা দলের সম্পদ। কর্মীরাই সাংসদ, বিধায়ক বানায়।`
নিজস্ব প্রতিবেদন : হাওড়ায় আজ শাসকদলের হাইভোল্টেজ মিছিল। একদিকে গোষ্ঠীকোন্দল, 'বেসুরো' একাধিক নেতানেত্রী। অন্যদিকে, বিজেপির রুটেই পাল্টা মিছিল। সবমিলিয়ে হাওড়ার হাইভোল্টেজ মিছিলে আজ নজর ছিল সবারই। কে আসবেন? আর কে এড়িয়ে যাবেন মিছিল? জোরকদমে চলছিল তার হিসেবনিকেশ। শেষমেশ দেখা গেল, প্রসূন ব্যানার্জি (Prasun Banerjee) এলেন। তবে এলেন না রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee), লক্ষ্মীরতন শুক্লা (Laxmi ratan Shukla), বৈশালি ডালমিয়া।
বৃহস্পতিবার হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মিছিল করেছিল বিজেপি। সেই মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ ও অর্জুন সিং। এরপর আজ সেই একই রুটে অরূপ রায়ের (Arup Roy) নেতৃত্বে তৃণমূলের মিছিল।রাজনৈতিক মহলের মতে, এই মিছিলে প্রকারান্তরে দলে অরূপ রায়ের শক্তি প্রদর্শন। সেই মিছিলে পাশাপাশি হাঁটতে দেখা গেল অরূপ রায় ও প্রসূন ব্যানার্জিকে (Prasun Banerjee)। কিন্তু রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, লক্ষ্মীরতন শুক্লা (Laxmi ratan Shukla) বা বৈশালি ডালমিয়া কাউকেই দেখা গেল না। প্রসঙ্গত, শুক্রবার দলের একাংশের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন সাংসদ প্রসূন ব্যানার্জি। ক্ষোভ উগরে দেন। এরপরই শনিবার তড়িঘড়ি 'বেসুরো' সাংসদকে ফোন করেন সৌগত রায়। এক ফোনেই বরফ গলে। সৌগত রায়ের সঙ্গে মন খুলে কথা বলে 'সুরে' ফেরেন প্রসূন ব্যানার্জি (Prasun Banerjee)। এরপর আজ তিনি মিছিলে আসেন কিনা, সেটাই ছিল দেখার। দেখা গেল, তিনি এলেন।
অন্যদিকে, অনুপস্থিত নেতৃত্বের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে অরূপ রায় (Arup Roy) বলেন, "সবাইকেই আমন্ত্রণ করা হয়েছে। দলের কর্মীরা দলের সম্পদ। কর্মীরাই সাংসদ, বিধায়ক বানায়।" উল্লেখ্য, গতকাল ফেসবুক লাইভে ফের দলের বিরুদ্ধে উষ্মাপ্রকাশ করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। তোপ দাগেন, ","ভালভাবে কাজ করতে গেলে কিছু নেতারা ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা দেন। ভাল কাজ করতে গেলেই বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছি। আমি উন্নয়নের কর্মী হিসাবে কাজ করতে চাই। এমন উন্নয়ন হোক, যাতে কোথাও ফাঁক না থাকে।"
আরও পড়ুন, চাল চোর, ত্রিপল চোর, এবার ভ্যাকসিন চোর সরকার : Kailash
অন্যদিকে, খেলায় মনোনিবেশ করতে চান, এই কারণ দেখিয়ে 'বিনা মেঘে বজ্রপাতের' মত আচমকাই জানুয়ারিতে মন্ত্রিত্ব ও জেলা সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা (Laxmi ratan Shukla)। যদিও বিধায়ক হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। লক্ষ্মীরতন শুক্লা ইস্তফা দিতেই তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অরূপ রায়। যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে লক্ষ্মী 'পালিয়ে যাচ্ছেন' বলে কটাক্ষ করতে শোনা যায় অরূপ রায়কে। পাল্টা আবার বৈশালি ডালমিয়া বলেন, "একাংশ দলটাকে উইপোকার মতো কুরে কুরে খাচ্ছে। পুরনো কর্মীদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। নতুন কর্মীদের জায়গা দেওয়া হচ্ছে না। কয়েকজন মানুষ দলটাকে নষ্ট করে দিচ্ছে।"
আরও পড়ুন, 'আমরা লস্ট কেস,' নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যাচ্ছেন না Sisir