'আমরা লস্ট কেস,' নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যাচ্ছেন না Sisir
"দলের তরফে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা নিয়ে কেউ কোনও যোগাযোগ করেনি। তাই সভায় যাওয়ার প্রশ্ন-ই ওঠে না।"
নিজস্ব প্রতিবেদন : সোমবার নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যাচ্ছেন না শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari)। সাফ জানিয়ে দিলেন তিনি। যাচ্ছেন না দিব্যেন্দু অধিকারীও। অর্থাত্, নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-এর জনসভায় থাকছেন শুভেন্দুর বাবা-ভাই কেউই।
সূত্রের খবর, ঘনিষ্ঠ মহলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিশির অধিকারী। বলেন, "আমরা তো লস্ট কেস। দলের তরফে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা নিয়ে কেউ কোনও যোগাযোগ করেনি। তাই সভায় যাওয়ার প্রশ্ন-ই ওঠে না।" প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই দিঘা -শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের (DSDA) পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে শিশির অধিকারীকে। শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই অধিকারী পরিবারের প্রতি খানিক কড়া হচ্ছিল তৃণমূল। প্রথমে কাঁথি পরিষদের পদ থেকে সরানো হয় সৌমেন্দু অধিকারীকে। তারপর DSDA থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় শিশির অধিকারীকে।
সৌমেন্দুকে অপসারণের পরই তৃণমূলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দাদা শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন তিনি। উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী শিবির বদল করে ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুলে যোগদানের পরই অধিকারী পরিবারে সঙ্গে তৃণমূলের সমীকরণ সম্পূর্ণ বদলে যায়। সৌমেন্দু ইতিমধ্যেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এবার প্রশ্ন, শিশির ও দিব্যেন্দুর পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপ কী হতে চলেছে? যদিও স্পষ্ট করে কেউ-ই কোনও ঘোষণা করেননি, তবে শুভেন্দু-সৌমেন্দুর পর শিশির-দিব্যেন্দু নিয়েও তুঙ্গে জল্পনা।
উল্লেখ্য, ডিসেম্বরে কাঁথিতে সভা করেন সৌগত রায় ও ফিরহাদ হাকিম। শরীর ভাল নেই জানিয়ে, সেই সভাতেও ছিলেন না শিশির অধিকারী। উপস্থিত ছিলেন না অধিকারী পরিবারের কেউই। এর পাশাপাশি গত ২৯ ডিসেম্বর খড়দার সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করে শুভেন্দু হুঙ্কার দিয়েছিলেন, "এখনও তো বাসন্তী পুজোটা আসেনি, রামনবমী আসেনি। রামনবমীটা আসতে দিন। আমার বাড়ির লোকেরাও পদ্ম ফোটাবে। শুধু আমার বাড়ির লোক কেন? হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ঢুকেও পদ্ম ফুটিয়ে আসব।"
আরও পড়ুন, নন্দীগ্রামে Mamata-র জনসভা, পাল্টা আগামিকালই কলকাতায় পদযাত্রা Suvendu-র
পথেই মৃত্যু রোগীর, ডেথ সার্টিফিকেট দেবেন পূর্ববর্তী হাসপাতালের চিকিত্সক-ই