Burdwan Rape: গৃহবধূকে লাগাতার ধর্ষণ! মঙ্গলকোটে গ্রেফতার রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী
কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পে মহিলাদের শোলার কাজ শেখানোর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সেই সুযোগেই এক গৃহবধূকে লাগাতার ধর্ষণ! অভিযুক্তকে জুতোপেটা করলেন নির্যাতিতার পরিবারের লোকেরা।
![Burdwan Rape: গৃহবধূকে লাগাতার ধর্ষণ! মঙ্গলকোটে গ্রেফতার রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী Burdwan Rape: গৃহবধূকে লাগাতার ধর্ষণ! মঙ্গলকোটে গ্রেফতার রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/10/10/392295-sas.jpg)
সন্দীপ ঘোষচৌধুরী: কাজ শেখানোর নাম করে লাগাতার ধর্ষণ? অশ্লীল ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল? বাড়িতে চড়াও হয়ে রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শোলাশিল্পীকে রীতিমতো ছুতোপেটা করলেন নির্যাতিতার পরিবারের লোকেরা! গ্রেফতার অভিযুক্ত। ধৃতকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। ঘটনাস্থল, বর্ধমানের মঙ্গলকোট।
ঘটনাটি ঠিক কী? শোলাশিল্পের জন্য বিখ্যাত মঙ্গলকোটের বনকাপাশি গ্রাম। এই গ্রামেরই বাসিন্দা আশিস মালাকার। স্রেফ রাষ্ট্রপতি পুরস্কার নয়, শোলাশিল্পে 'শিল্পগুরু' উপাধিও পেয়েছেন তিনি। ফলে গ্রামের মহিলাদের যখন শোলার কাজ শিখিয়ে স্বর্নিভর করার উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় সরকার, তখন সেই প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হয় আশিষকেই। আর তাতেই ঘটল বিপত্তি।
আরও পড়ুন: Soumendu Adhikari: সারদার জন্য জমি অধিগ্রহণ, শুভেন্দুর ভাইকে ম্যারাথন জেরা কাঁথি পুলিসের
অভিযোগ, হাতেকলমে শোলার কাজ শেখানোর নাম করে স্থানীয় এক গৃহবধূকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন আশিষ। কিন্তু প্রথমে অবশ্য কাউকে কিছু বলেননি নির্যাতিতার। কেন? ওই মহিলার দাবি, অশ্লীল ছবি তুলে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শোলাশিল্পী! এরপর গতকাল, রবিবার যখন ঘটনাটি জানাজানি হয়, তখন অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হন নির্যাতিতার পরিবারের লোকেরা। জুতোপেঠা করা হয় আশিষ মালাকারকে! এরপর তাঁকে উদ্ধার করে কৈচর ফাঁড়িতে নিয়ে যায় পুলিস। ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর, শেষপর্যন্ত রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শোলাশিল্পীকে গ্রেফতার করে মঙ্গলকোট থানার পুলিস।
এদিকে হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় দশমীর রাতে ভাই-বোনের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল এক নাবালিকা। এরপর শনিবার সকালে বাড়ির কাছেই জাঙ্গিপাড়ার শ্রীহট্ট এলাকায় একটি ঝিলে তার দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কীভাবে মৃত্যু? ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ, শরীরের ধর্ষণের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছিল। এই ঘটনায় হুগলির হরিপাল থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। হুগলির (গ্রামীণ) পুলিস সুপারের দাবি, ধৃতদের মধ্যে একজনের সঙ্গে আগেই থেকে পরিচয় ছিল ওই নাবালিকার। তিনি জানিয়েছেন, 'একজনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ওই নাবালিকার। ঘটনার দিন, দশমীর রাতে ছেলেটি ওই নাবালিকাকে ডাকে। তারপরই নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। বাধা দেয় নাবালিকা। ধস্তাধস্তির সময়ে পুকুরে পড়ে যায় সে। জলে ডুবে মৃত্যু হয়'।