নিজস্ব প্রতিবেদন: সেনার কপ্টারে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে পৌঁছল প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির দেহ। দীর্ঘ ৯ বছর পর ঘরে ফিরল ঘরের ছেলে। তবে কফিনবন্দি হয়ে। পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে নিরন্তর তাঁর সুস্থতা কামনা করেছেন লক্ষ লক্ষ প্রিয়প্রেমী। সেই প্রার্থনা পূর্ণ না হলেও প্রিয় নেতাকে দেখতে এদিন হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে আছড়ে পড়ল জনসমুদ্রের ঢেউ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার বিকাল তিনটে নাগাদ প্রিয়রঞ্জনের দেহ নিয়ে কলকাতা থেকে ওড়ে সেনার কপ্টার। প্রায় দুঘণ্টা পর তা পৌঁছায় রায়গঞ্জের হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে। কপ্টারে দেহের সঙ্গে ছিলেন দীপা দাশমুন্সী, প্রিয়র ছেলে, অধীর চৌধুরী, আবদুল মান্নান।


প্রিয়র মৃত্যুতে আজ রায়গঞ্জ শহরে ছিল অঘোষিত বনধের চেহারা। প্রিয় নেতাকে শেষ বার দেখতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হেলিপ্যাড ময়দানে অপেক্ষা করেছেন হাজার হাজার মানুষ। বেড়া দিতে তাদের আটকানোর চেষ্টা হলেও কপ্টার মাটি ছুঁতেই বাঁধ ভাঙে সব আবেগ।


ভিড় সরিয়ে দেহ কী করে কালিয়াগঞ্জ নিয়ে যাওয়া হবে তা নিয়ে ভাবনায় পড়ে যান পুলিশকর্তারা। কংগ্রেস নেতৃত্ব ও পরিবারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, রায়গঞ্জে খোলা হবে না কফিন। তা খোলা হবে একেবারে অন্তেষ্টীর সময়। হ্যালিপ্যাড থেকে রায়গঞ্জ পুলিস ট্রেনিং মাঠে নিয়ে যাওয়া হয় প্রয়রঞ্জনের দেহ। সেখানে রাজ্য সরকারের পক্ষে গান স্যালুট দেওয়া হবে প্রিয়কে। তার পর দেহ যাবে কালিয়াগঞ্জে। সেখানে দলের সদর দফতরে কিছুক্ষণ মরদেহ শায়িত রাখা হবে। সেখান রায়গঞ্জে ফিরবে মরদেহ। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। তবে ভিড়ের চাপে সবকিছু নির্ঘণ্ট মেনে হবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কায় পরিজন ও প্রশাসন। 


অারও পড়ুন-সিদ্ধান্ত নেবে সেন্সর বোর্ড, 'পদ্মাবতী'র মুক্তিতে হস্তক্ষেপ নয় : সুপ্রিম কোর্ট