নিজস্ব প্রতিবেদন : স্বামীকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল গৃহবধু ও তার বাপেরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার নিঃসিদেরচকে। মৃত যুবকের নাম বলরাম হরিজন(২৯)। স্ত্রী সুনন্দা মণ্ডলের অবৈধ সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় বলরামকে এমন মর্মান্তিক পরিণতির স্বীকার হতে হল বলে দাবি মৃতের পরিবারের সদস্যদের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



স্থানীয়দের দাবি ৭ বছর আগে পেশায় ডাব ব্যবসায়ী কেওড়াডেঙ্গার বলরাম হরিজনের সঙ্গে নিঃসদেরচকের সুনন্দা মণ্ডলের বিয়ে হয়। তাঁদের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। প্রতিবেশিদের দাবি, বিয়ের পর থেকেই ক্রমেই বচসা বাড়তে থাকে বলরাম ও সুনন্দার। প্রায় প্রতিদিনই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। শুধু তাই নয়, সুনন্দা তার বাপেরবাড়িতে ফোন করে বাবা, দাদাকে ডেকে এনে বলরামকে মারধরও করাত বলে অভিযোগ। বলরামের মামারা তার প্রতিবাদ করায় উল্টে তাঁদেরই বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সুনন্দার বাপেরবাড়ির সদস্যরা। 


বলরামের পরিবারের সদস্যদের দাবি, এর পর থেকেই স্ত্রী সুনন্দা ও তার বাবা-দাদার কথা মতো নিঃসিদেরচকে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে বাস করতে শুরু করে বলরাম। ছেলের সাংসারিক জীবনে শান্তি আসার আশায় আপত্তি করেননি বলরামের মাও। কিন্তু তাতেও মেলেনি সুরাহা। শ্বশুরবাড়িতেও ক্রমাগত স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে বলরাম। বলরামের মামাদের অভিযোগ, সুনন্দার বিবাব-বহির্ভুত সম্পর্কের কথা জানতে পেরে যায় বলরাম। তার প্রতিবাদ করাতেই বাড়তে থাকে অশান্তি। শুক্রবার রাতে বলরামের বাড়িতে ফোন করে তাঁর আত্মঘাতী হওয়ার কথা জানায় সুনন্দা ও তার বাপেরবাড়ির সদস্যরা। 


আরও পড়ুন : রান্নাঘরের মেঝে থেকে বেরিয়ে পা, বধুকে খুন করে পুতে দেওয়ার অভিযোগ স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে


তবে, সুনন্দাদের দাবি মানতে নারাজ বলরামের বাড়ির সদস্যরা। বলরামের মা ও মামাদের দাবি, সুনন্দার বিবাহ-বহির্ভুত সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল বলরাম। তাই পথের কাঁটা সরাতে শুক্রবার রাতে বলরামকে খুন করে ঝুলিয়ে দেয় সুনন্দা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।  


শুক্রবার রাতে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ও দেহ উদ্ধার করে আমতলা গ্রামীন হসপিটালে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিংসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শনিবার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মমিনপুরে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। দুই পরিবারেরই সদস্যদের জ্বিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।  তবে সুনন্দার কাকা নবকুমার মণ্ডলের দাবি, বলরামের পরিারের সদস্যদের তরফে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। বলরাম হরিজন প্রায়ই নেশাভান করত। ফলে, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া অশান্তি লেগে থাকত। সেই মনোমালিন্য থেকেই বলরাম আত্মঘাতী হয়েছে।