নবান্ন থেকে এসে গেল পুজো গাইডলাইন
পুজো প্যান্ডাল যথেষ্ট খোলামেলা রাখতে হবে। মণ্ডপে প্রবেশ ও বেরোনোর জন্য পৃথক গেট রাখতে হবে। ফ্লোর মার্কিং করত হবে। দর্শনার্থীদের জন্য মাস্ক মাস্ট।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নবান্ন থেকে পুজো উদ্যোক্তাদের প্রতি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হল। সেখানে বলা হয়েছে, ২৪ সেপ্টেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজো উদ্যোক্তাদের যে সব পরামর্শ দিয়েছিলেন সেগুলিই এখানে নির্দিষ্ট করে জানানো হচ্ছে।
পুজো উদ্বোধন হবে যতদূর সম্ভব ছোট আকারে। পুজো প্যান্ডাল যথেষ্ট খোলামেলা রাখতে হবে। মণ্ডপে প্রবেশ ও বেরোনোর জন্য পৃথক গেট রাখতে হবে। ফ্লোর মার্কিং করত হবে। দর্শনার্থীদের জন্য মাস্ক মাস্ট। তাঁদের হ্যান্ড স্যানিটাইজারও সরবরাহ করতে হবে। কেউ যদি মণ্ডপের চৌহদ্দির মধ্যে মাস্ক ছাড়াই চলে আসেন, তাঁকে মাস্ক দিতে হবে। প্রচুর স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও সিঁদুর খেলাও হবে যতদূর সম্ভব ভিড় নিয়ন্ত্রণ করে। কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা চলবে না। বিসর্জনের বাড়াবাড়ি চলবে না। শোভাযাত্রা হবে না। হবে না কার্নিভালও। তবে তৃতীয়া থেকেই মানুষ ঠাকুর দেখতে পারবেন।
যে সার্কুলার প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে সরকারের তরফে পুজো উদ্যোক্তাদের যে সব ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হচ্ছে, তারও উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন, সরকার কোনও কর নেবে না। পুরসভা বা পঞ্চায়েতও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ফ্রি সার্ভিস দেবে পুজো কমিটিগুলিকে। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে সরকার ৫০ শতাংশ খরচ মকুব করবে। এবং করোনার বিপর্যস্ত সময়ের কথা মনে রেখে প্রতিটি পুজো কমিটিকে সরকার এককালীন ৫০ হাজার টাকা অনুদান দিচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশও পুজো ক্লাব, কমিটিদের যথা সম্ভব সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: অক্টোবর থেকে রবিবারেও চলবে মেট্রো, ঘোষণা কর্তৃপক্ষের