ফিরে দেখা সেই ২২শে শ্রাবণ
তাঁর চলে যাওয়ার ৭৭ বছর পর আজও তিনি রয়েছেন বাঙালির হৃদয় জুড়ে। আজও বাঙালির সকল অনুভূতির সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আজ ২২শে শ্রাবণ। গত শতকের এক শ্রাবণে চলে গিয়েছিলেন কবি। আজ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৭তম প্রয়াণ দিবস। বাংলা ক্যালেন্ডারের ১৩৪৮ সালের এই দিনেই তাঁর প্রিয় ঋতুতে নির্বাপিত হয়েছিল কবির জীবনপ্রদীপ। ইংরাজি ক্যালেন্ডারের ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট তাঁর প্রিয় ঋতু বর্ষায় নিভেছিল কবির জীবনপ্রদীপ।
জুলাই, ১৯৪১। রবীন্দ্রনাথ তখন খুবই অসুস্থ। ১৬ জুলাই ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় ও আরও ক’জন চিকিৎসক শান্তিনিকেতনে এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথের চিকিৎসা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য।
২৪ জুলাই, ১৯৪১। শান্তিনিকেতন, বোলপুর, শ্রীনিকেতন, গোয়ালপাড়া, পারুলডাঙা, ভুবনডাঙা— এলাকার সমস্ত মানুষজনের কাছেই খবরটা পৌঁছে গিয়েছিল, পর দিন সকালে রবীন্দ্রনাথকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হবে। স্বভাবতই সকলের মন ছিল বেদনায় ভারাক্রান্ত।
২৫ জুলাই, ১৯৪১: চিকিত্সার জন্য শান্তিনিকেতন থেকে কলকাতা রওনা দেন রবীন্দ্রনাথ। তার পর জোড়াসাঁকোর বাড়িতে আসা, তাঁকে সুস্থ করে তুলতে চিকিত্সকদের নিরন্তর প্রয়াস চলতে থাকে। শেষে অস্ত্রোপচার। কিন্তু বাঁচানো যায়নি কবিশ্রেষ্ঠকে। ৭ আগস্ট, ১৯৪১-এ সব চেষ্টা ব্যর্থ করে ইহলোক ত্যাগ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তবে তাঁর চলে যাওয়ার ৭৭ বছর পর আজও তিনি রয়েছেন বাঙালির হৃদয় জুড়ে। আজও বাঙালির সকল অনুভূতির সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
নিমতলায় রবীন্দ্রনাথের সমাধিস্থলের পাশে বছর তিনেক আগে কলকাতা পুরসভা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিতে বাগান তৈরি করেছে। সমাধিস্থলের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। পুরসভার তরফেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রবীন্দ্রভারতী, বিশ্বভারতী, জোড়াসাঁকোর বাড়িতে বা নিমতলায় রবীন্দ্রনাথের সমাধিস্থলের সর্বত্র বিসন্নতার ছাপ। নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এই দিনটিতে কবি স্মরণের অয়োজন হয়েছে অনেক জায়গাতেই। তবু আজ যেন কবি এ সবের থেকে অনেক দূরে, ঠিক তাঁর নিমতলার সমাধিস্থলের মতো। একান্তে বাদল ধারার সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন!