আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দুই বঙ্গেই বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা
আবহাওয়া দফতর কলকাতায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকে আকাশ ছিল মেঘলা। তবে কখনও কখনও রোদও উঠছিল। মেঘ-রোদ্দুরের খেলায় ভ্যাপসা, গুমোট গরমে নাজেহাল হচ্ছিলেন শহরবাসী।
![আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দুই বঙ্গেই বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দুই বঙ্গেই বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2018/09/11/140466-rain.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: দুপুর থেকে আকাশের মুখ ছিল ভার। ভরদুপুরেই অন্ধকার মহানগর। আলো না জ্বাললে পাঁচ হাত দূরের গাড়ি দেখা মুশকিল। বেলা দেড়টার পর থেকে কালো করে আসে আকাশ। যেন দুপুরে নেমেছে আঁধার। কিছুক্ষণের মধ্যে ঝাঁপিয়ে বৃষ্টি নামে কলকাতায়। মৌসুমী অক্ষরেখার জন্য কলকাতায় ভারী বৃষ্টির যে পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর, তা সত্যি হল। আগামী ২৪-৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গেও রয়েছে বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।
আরও পড়ুন: পাত্রী দেখতে গিয়ে তাঁর বাড়িতে বারাকপুরের পাত্র যা ঘটালেন, তা এই রাজ্যে কেন দেশে কোথাও আগে ঘটেনি!
আবহাওয়া দফতর কলকাতায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকে আকাশ ছিল মেঘলা। তবে কখনও কখনও রোদও উঠছিল। মেঘ-রোদ্দুরের খেলায় ভ্যাপসা, গুমোট গরমে নাজেহাল হচ্ছিলেন শহরবাসী। কিন্তু দুপুরের পর থেকে কালো মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। দুপুরে আড়াইটের পর থেকে ঝেঁপে বৃষ্টি নামে। তবে এই বৃষ্টি কলকাতাতেই বেশি হয়। শহরতলিতে ওতটাও দুপুরে বৃষ্টি হয়নি। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বৃষ্টিতে কলকাতা জুড়ে ব্যাপক যানজট। ধীরে চলছে গাড়ি।
আরও পড়ুন: বরের কাছ থেকে এনে মেয়ের সঙ্গে চরম ঘৃণ্য কাজ করল বাবা-দাদা, ধরিয়ে দিল কয়েকটি সংখ্যা!
অন্যদিকে, রবিবার র ভুটানে রাত ভর বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়ে ডুয়ার্সের বানার হাট। হাসপাতাল, থানা-সবই জলের নীচে। শান্তিপাড়া, বানারহাট চা বাগানে কোমর সমান জল জমে যায়। হাঁটু জল দাঁড়িয়ে যায় রেললাইনেও। সেচ দফতরের কন্ট্রোলরুম সূত্রে জানা গিয়েছে, জলঢাকা নদীর দুপাড়ে জারি করা হয় হলুদ সংকেত। মঙ্গলবার সকাল থেকে জল কমতে শুরু করে এলাকায়। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে জলপাইগুড়িতে। তিস্তা, জলঢাকায় এখনও হলুদ সংকেত রয়েছে।
এদিকে, মালদহে গঙ্গায় রেড অ্যালার্ট জারি হয়েছে। রতুয়ায় এদিন সকালেই গঙ্গাবঙ্গে তলিয়ে গিয়েছে কয়েকশো হেক্টর জমি। বহু মানুষ ঘরছাড়া।