নিজস্ব প্রতিবেদন : মিষ্টি ও ফুলের দোকানের পর করোনা মোকাবিলায় এবার রেশন দোকান খোলা ও বন্ধের সময়সীমা বেঁধে দিল রাজ্য সরকার। খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের তরফে এক নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, ২৪ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত প্রতিদিন রেশন দোকান খোলা থাকবে দু'দফায়। প্রথমে সকালে ৮ টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত রেশন দোকান খোলা থাকবে। তারপর দুপুর ২টো থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে রেশন দোকান। করোনা মোকাবিলায় সোস্যাল ডিসট্যান্সিং-এর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তাই ভিড় এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত। একইসঙ্গে নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে ২৫ মে ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ওইদিন রেশন দোকান বন্ধ থাকবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


করোনার জেরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার বিনামূল্যে ৬ মাস রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে ঠিক হয়েছিল জন প্রতি ২ কেজি করে চাল ও ৩ কেজি করে গম দেওয়া হবে। তবে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, এবার থেকে আর গম নয়। রেশন দোকান থেকে ৫ কেজি করে শুধু চাল-ই দেওয়া হবে। যাঁরা আগে ২ টাকা কিলো দরে চাল পাচ্ছিলেন, তাঁরা ছাড়াও প্রত্যেকেই বিনামূল্যে রেশন দোকান থেকে ৫ কেজি করে চাল পাবেন।


প্রসঙ্গত, লকডাউনে রাজ্যের দুঃস্থ পরিবারগুলির কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে ঘোষণা করেছিলেন, জন প্রতি ২ কেজি করে চাল ও ৩ কেজি করে গম দেওয়া হবে। কিন্তু দেখা যায়, অনেকেই গম নিতে চাইছেন না। মূলত লকডাউনে গমকলগুলি  বন্ধ থাকায় অনেকেই কেবল চাল নিতে চাইছিলেন। এরফলে একাধিক রেশন ডিলার সমস্যায় পড়ছিলেন। কোথাও কোথাও এই নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যেও অশান্তি হচ্ছিল। পাশাপাশি রেশন ডিলাররাও অভিযোগ করছিলেন, অনেকেই চাল চেয়ে চাপ দিচ্ছেন তাঁদের। 


রেশন ডিলারদের কাছ থেকে পাওয়া একাধিক অভিযোগ ও পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেই গমের বদলে চাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, এবার থেকে রেশনে জন প্রতি ৫ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। এরফলে উপকৃত হবেন রাজ্যের ৯ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ। উল্লেখ্য, রেশনে দুর্নীতি নিয়ে একাধিক অভিযোগ তুলছেন বিরোধীরা। তবে সেসবে আমল দিতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকার যে রেশনে চাল বিলি নিয়ে তত্পর, তা বোঝাতে বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে সেরে সারপ্রাইজ ভিজিটে বেরিয়ে আগেই ভবানীপুর এলাকায় একটি রেশন দোকানে যান মুখ্যমন্ত্রী।


আরও পড়ুন, একহাতে করোনা রোগীর সেবা, অন্যহাতে অভুক্তদের অন্ন দিয়ে দৃষ্টান্ত  SSKM-এর ১১ নার্সের