Saddam Sardar: কাটছেই না জট, খাটের নীচে মাগুর মাছ চাষ! তাহলে সুড়ঙ্গ খালে মিশল কেন?

Kultali Tunnel Incident: ভেড়িতে মাছ চাষ করেই তার সংসার চলত সাদ্দামের। বাড়ির পাশেই খালের জলের ঢেউকে কাজে লাগিয়ে সুড়ঙ্গের মধ্যে মাগুর মাছ চাষের পরিকল্পনা ছিল তার। অবশেষে গ্রেফতার কুলতির টানেল ম্যান সাদ্দাম। 

Updated By: Jul 19, 2024, 04:22 PM IST
Saddam Sardar: কাটছেই না জট, খাটের নীচে মাগুর মাছ চাষ! তাহলে সুড়ঙ্গ খালে মিশল কেন?
নিজস্ব ছবি

তথাগত চক্রবর্তী: অবশেষে সাদ্দামের বাড়ির সুড়ঙ্গের রহস্যের কিনারা করল পুলিস। মাগুর মাছ চাষের জন্যই এই সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছিল বলে পুলিসি জেরায় জানিয়েছে সাদ্দাম। পেশায় মাছ চাষি সাদ্দাম, ছোটবেলা থেকেই মাছ চাষের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ভেড়িতে মাছ চাষ করেই তার সংসার চলত। বাড়ির পাশেই খালের জলের ঢেউকে কাজে লাগিয়ে সুড়ঙ্গের মধ্যে মাগুর মাছ চাষের পরিকল্পনা ছিল তার। সুড়ঙ্গের মুখে জাল দিয়ে আটকে এই মাগুর মাছ সে চাষ করার পরিকল্পনা করে। যদিও গ্রামবাসীদের আপত্তিতে তা শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। 

আরও পড়ুন, Malda: প্রেমে বিচ্ছেদে 'ধর্ষণে'র অভিযোগে ব্ল্যাকমেইল, প্রেমিকাকে 'চরম শাস্তি' প্রেমিকের!

সাদ্দামদের বাবার নাম মুকসেদ। বর্তমানে তার পেশা কবিরাজি। যদিও তিনি আগে এই ঠাকুর কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই সময় এই কাণ্ডকারখানা ছোট থাকলেও একবার তিনি প্রায় ১০ লক্ষ টাকা পেয়ে যান এই কাজ করে। তারপর এই পেশা ছেড়ে দেন। সাদ্দামের বাবা মুকসেদের তিনখানা বিয়ে। দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে হল সাদ্দাম। আর তৃতীয় স্ত্রীর ছেলে হল শাহরুল। এই সাহরুল পুলিসকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ফেরার শাহরুল। এই শাহরুল দর্জির কাজের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। পলাতক শাহরুলের সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ব্যবহৃত বন্দুক উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। 

বছর পাঁচেক আগে গ্রাম থেকে কিছুটা আগে একদম ফাঁকা জায়গায় জমি কিনে বাড়ি করে সাদ্দাম। স্থানীয় রাজমিস্ত্রিদের দিয়েই তৈরি হয়েছিল এই বাড়ি। সুড়ঙ্গের মধ্যে মাছ চাষের বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় বাসিন্দারা আপত্তি করে। সেই থেকে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়েছিল এই সুড়ঙ্গ এমনটাই পুলিসি জেরায় জানিয়েছে সাদ্দাম। যদিও জানা গিয়েছে ঘটনার পর এই খালে রাখা ডিঙি ব্যবহার করেই খাল পার করে সাদ্দাম। তারপর প্রায় সারাদিন প্লাস্টিক পেতে করলার ক্ষেতের মধ্যে সময় কাটায় সে।

অন্ধকার নামতেই পায়ে হেঁটে চুপরিঝাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। রাস্তায় যাওয়ার পথে দোকান থেকে খাবারও কেনে সাদ্দাম। চুপড়িঝাড়া গ্রামের বানীরধল এলাকায় একটি আলা ঘরে আশ্রয় নেয়। এই আলা ঘর সিপিএম নেতা মান্নান খানের। যিনি ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছিলেন সিপিএমের হয়ে। মাছ চাষের সঙ্গে যুক্ত মান্নান খানের সঙ্গে আগে থেকে আলাপ ছিল সাদ্দামের। ভৌগলিক কারণেই এই জায়গা অনেক বেশি নিরাপদ ছিল সাদ্দামের কাছে।

গাড়ি নিয়ে এই এলাকায় আসা অসম্ভব ছিল। একমাত্র বাইক বা সাইকেলে চেপে অথবা পায়ে হেঁটে আসতে হত এই এলাকায়। এছাড়া আলা ঘরের পাশেই ছিল ঠাকুরানী নদী। পুলিসের তাড়া খেলে অনায়াসে পালিয়ে গিয়ে এই ঠাকুরানীর নদীর ধরে জলপথে যে কোন জায়গায় পালিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল সাদ্দামের পক্ষে। এমনকি বাংলাদেশ চলে যাওয়াও খুব সহজ ছিল। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি সাদ্দামের। সাদ্দাম ও সাদ্দামের ভাই শাহরুল ছাড়াও সাকাত, সাদ্দামের খুড়ততো ভাই এই চক্রের অন্যতম মাথা। বংশ পরম্পরায় এই কাজ তারা করত বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন, Bengal Weather: নিম্নচাপের ভ্রুকুটি! বাংলায় বাড়বে বৃষ্টি, ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা কোন ৫ জেলায়?

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.