গুড়-বাতাসা নয়, বীরভূমে `হাওয়া` তুলতে অন্য দাওয়াই সাংসদ শতাব্দী রায়ের
অনুব্রত মণ্ডল আগে থেকেই গুড়-বাতাসা, চরাম চরাম-এর দাওয়াই দিয়ে রেখেছেন। শতাব্দী রায়ও কি সেরকম কোনও দাওয়াইয়ে ভরসা রাখেন?
নিজস্ব প্রতিবেদন- তিনি এখন কলকাতায় কম থাকেন। বীরভূমেই তাঁকে বেশি পাওয়া যায়। এমনটাই বলেন প্রিয়জনরা। তিনি নিজেও মনে করেন তেমনটাই। মজা করে বলেন, আমি এখন বাপের বাড়ির থেকে বীরভূমে বেশি যাই। রূপোলি পর্দা থেকে রাজনীতির আঙিনায়। নতুন পথে দশ বছর কাটিয়ে ফেলেছেন শতাব্দী রায়। নির্বাচনী প্রচারে নামার আগে এখনও কি বুক দুরু দুরু করে? বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় বলছিলেন, সারা বছরই তো প্রচারের কাজ চলে। তাই আলাদা করে প্রচারের কাজ বলে মনে করি না। কাল তারাপীঠে পুজো দিয়ে প্রচারে নামব। এটাকে শুরুর শুরু বলা যায়।
আরও পড়ুন- তৃণমূল তো আঞ্চলিক দল, খোঁচা দিলীপের
তিনি যখন রূপোলি পর্দা থেকে রাজনীতিতে এসেছিলেন, তখনও অনেকে অনেক কথা বলেছেন। শতাব্দী রায় সে কথা মনে করিয়ে বললেন, ''অনেকেই ভেবেছিল আমি গ্ল্যামার জগত থেক এসেছি বলে বীরভূমের রোদে, গরমে রাস্তায় নেমে কাজ করতে পারব না। ভোট নিয়ে পালিয়ে যাব। কিন্তু সেটা ভুল বলে প্রমাণ হয়েছে। বীরভূমের এমন অনেক প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়েছি যেখানে লোকে আমাকে দেখে বলছে, আরে আপনাকে তো এই নিয়ে পাঁচবার দেখলাম। সাংসদ হিসাবে পুরো টাকা খরচ করেছি। অনেকে শুরুর দিকে পরামর্শ দিতেন, বড় প্রজেক্ট করতে! কিন্তু আমি সেটা করিনি। গ্রামের মানুষের প্রয়োজনে ছোট ছোট প্রচুর কাজ করেছি। বীরভূমে আমাদের বিরোধীরাও বিশ্বাস করে, শতাব্দী রায় মাঠে নেমে কাজ করে।''
আরও পড়ুন- গোটা পশ্চিমবঙ্গকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করতে হবে, কমিশনে দাবি জানিয়ে এল বিজেপি
মিমি চক্রবর্তী ও নুসরত জাহান। আরও একবার সিনেমা জগতের দুই নায়িকা আসছেন রাজনীতির উঠোনে। পূর্বসুরি শতাব্দী রায়ের কাছ থেকে তাঁরা কি কোনও টিপস পেয়েছেন? ''নুসরতের সঙ্গে দুদিন আগে দেখা হয়েছিল। তবে তখনও ওদের নাম প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা হয়নি। যে কোনও পেশাতেই সফল হতে গেলে কাজের প্রতি সত্ থাকাটা জরুরি। মিমি ও নুসরত সিনেমা জগতে সাফল্য পেয়েছে। নিশ্চয়ই ওরা দায়িত্বশীল।'' বলছিলেন শতাব্দী।
আরও পড়ুন- কড়াকড়ি! এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের উপরও নজরদারি চালাবে নির্বাচন কমিশন
বীরভূমের রাজনীতি মানেই হাওয়া গরম। অনুব্রত মণ্ডল আগে থেকেই গুড়-বাতাসা, চরাম চরাম-এর দাওয়াই দিয়ে রেখেছেন। শতাব্দী রায়ও কি সেরকম কোনও দাওয়াইয়ে ভরসা রাখেন? শতাব্দী রায় বলে গেলেন, ''আমি মমতা বন্দোপাধ্যায় দাওয়াইয়ে ভরসা রাখি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যা এমন ওষুধের নাম যাতে মানুষের শরীর ভাল হয়ে যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন ওষুধের নাম যাতে বাংলার মানুষ ভরসা করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন এমন নাম যাঁকে গোটা ভারতবর্ষ ভয় করে। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিরা ভয় করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তো এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ভাবতে বাধ্য হয়েছেন। সংসদেও এমন হয়েছে যে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও আমরাই প্রধান বিরোধী হিসাবে উঠে এসেছি।''