Saumitra Khan: পৃথক জঙ্গলমহল রাজ্যের দাবি, সৌমিত্র খাঁকে বিঁধলেন দলেরই নেতা
বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ বলেন, কলকাতা যেভাবে জঙ্গলমহলকে সবদিক থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে তাতে আমি জঙ্গলমহল রাজ্যের দাবির পক্ষে সহমত
প্রসেনজিত্ মালাকার: পৃথক জঙ্গলমহল রাজ্যের দাবি করার মতো কোনও হালকা মন্তব্য করা উচিত হয়নি সৌমিত্র খাঁর। এভাবেই বিজেপি সাংসদের পৃথক রাজ্যের দাবিকে কটাক্ষ করলেন দলের নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়।
কী বলেছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ? সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ বলেন, কলকাতা যেভাবে জঙ্গলমহলকে সবদিক থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে তাতে আমি জঙ্গলমহল রাজ্যের দাবির পক্ষে সহমত। এনিয়ে কেন্দ্রের কাছে দরবার করব।
কেন এমন দাবি? সৌমিত্র খাঁ বলেন, বীরভূমে যে কয়লা খাদান হবে তার টাকা তুলে নিয়ে যাবে কলকাতা। এখানকার পাথর নিয়ে কলকাতার বাবুদের বাড়ি তোলা হচ্ছে। আর বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, আসানসোল, ঝাড়গ্রাম মানুষ দিনের পর দিন বঞ্চিত হচ্ছে। তাদের কাজ দেওয়া হচ্ছে না। রাজ্যে ২৩টি জেলা ভেঙে ৪৬টি জেলা করা হচ্ছে। তাহলে আমরা আলাদা জঙ্গলমহল রাজ্য কেন চাইব না? এই এলাকার মানুষ হিসেবে আমার বাঁচতে চাই।
এনিয়ে আজ বিজেপি নেতা ও বিধানসভা নির্বাচনে বোলপুরে বিজেপির প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এই দাবি সৌমিত্র খাঁ এর ব্যক্তিগত। আর উনি একজন পার্সোনালিটি হিসাবে কিংবা জনপ্রতিনিধি হিসেব নিজস্ব মত দিতেই পারেন। তবে, এটি দলের মত নয়। উনি সেটা বলেনওনি। পৃথক রাজ্য হওয়া উচিত কী উচিত নয়, তা গভীর চিন্তার বিষয়। বিষয়টি ছোট নয়। সংবিধানের বহুকিছু বিষয় এর মধ্যে থাকে। এমন কথা হালকাভাবে বলা উচিত নয়।
অর্জুন সিং এর তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ওঁকে অনেক শুভেচ্ছা রইল। আগামিদিনে তিনি আবার নিজের সিটে জয় লাভ করে আসুক। তাকে আমাদের দলে প্রচুর সম্মান দেওয়া হয়েছে। আগামীতে উনি কী করতে পারেন মানুষের জন্যে সেটাই দেখার।