নিজস্ব প্রতিবেদন : অভিমান হয়েছিল দলের একাংশের প্রতি। সেই অভিমান গলে জল হয়ে গিয়েছে। তাঁকে রাজ্য সহ-সভাপতি করা হয়েছে। এরপরই এদিন পুরুলিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর সভা থেকে নেত্রীর হয়ে জোর সওয়াল করলেন শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy)। একইসঙ্গে 'বহিরাগত' ইস্যুতে নিশানা করলেন বিজেপিকেও (BJP)। শতাব্দী বলেন, "সংসারে অশান্তি হয়। নিজের লোককে বকা যায়। বাইরের লোক এসে কিছু বলবে এটা হতে দেওয়া হবে না। আমাদের অভিমান থাকতে পারে ওনার ওপর। কিন্তু অন্য রাজ্যের মানুষ এসে ওনাকে বলবে, এটা মানব না।" আর এরপরই প্রশ্ন উঠছে, শতাব্দীকে দিয়ে কি 'বেসুরো'দেরই বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী? 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিজেপিকে নিশানা করে শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy) আরও বলেন, "ওরা যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তাতে বিভ্রান্ত হবেন না। বুদ্ধি দিয়ে বিচার করে সিদ্ধান্ত নিন। আমাদের নেত্রী কথা রাখেন, পাশে থাকেন। বুকে হাত দিয়ে প্রশ্ন করুন তো, মানুষ কি উপকৃত হয়নি? আপনারা সুযোগ নেবেন কিন্তু ভোট দেবেন না, এটা কি বেইমানি নয়? রাস্তায় নেমে লড়াই করার জন্য আছেন মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। উনি এত শক্তিশালী যে সবাই মিলে ওনার বিরুদ্ধে লড়তে আসছেন। কেন্দ্র মমতা ব্যানার্জিকে ভয় পায়... আমরা এরাজ্যে শান্তিতে ছিলাম। যখন থেকে বিজেপি (BJP) ক্ষমতায় আসতে চাইছে, তবে থেকেই গন্ডগোল হচ্ছে... কেন্দ্রীয় সরকার কোনও প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিশ্রুতি রাখেনি। ১০০ ভাগের ১০০ ভাগ-ই সম্ভব নয়, তবে যতটুকু সম্ভব আমাদের নেত্রী করেছে। তাই আমাদের অভাব, অভিযোগ আমরা দিদিকেই বলব।"


প্রসঙ্গত, দলের একাংশের প্রতি অসন্তোষ ব্যক্ত করে গত বৃহস্পতিবার প্রথমে ফেসবুকে তোপ দাগেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy)। ক্ষুব্ধ সাংসদ শনিবার দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে দেখা করার ইঙ্গিতও দেন। এরপরই শুক্রবার তৃণমূলের তরফে শতাব্দীর মানভঞ্জন প্রক্রিয়া শুরু হয়। ফোন করেন সাংসদ সৌগত রায়। বাড়িতে ছুটে যান দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শেষে রাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বরফ গলে জল হয়। ইউ-টার্ন করে শতাব্দী জানান, শনিবার আর দিল্লি যাচ্ছেন না তিনি।


আরও পড়ুন, 'একুশে নন্দীগ্রাম থেকে আমি-ই দাঁড়াব, নিরাশ করব না ভবানীপুরকেও'


কিন্তু তারপরেও শনিবার বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ দাবি করেন, "দিদি অভিনয় করে আপাতত শতাব্দী রায়কে (Shatabdi Roy) আটকেছেন। তবে আমি জানি, ২-৪ দিনের জন্যই তাঁকে আটকানো হয়েছে। শতাব্দী রায় বিজেপিতেই (BJP) আসবেন। কারণ, তিনি চাইছেন কিছু কাজ করতে। এতদিন কিছু করুন আর না করুন, বিজেপিতে এসে তিনি কিছু কাজ করতে চাইছেন।" এরপরই পাল্টা জবাব দিয়ে শতাব্দী রায় জানান, "এখন বিজেপি ক্ষমতায় আসার লড়াই করছে। এ বলছে ও ভাঙবে, ও চুরবে। সব কথার উত্তর দেওয়ার দরকার আছে বলে মনে করি না। আমি আবার অবস্থান ব্যক্ত করেছি। যে কনফিউশন সবাই তৈরি করেছিল, তা স্পষ্ট করেছি।" 


তারপরই রবিবার তৃণমূলের তরফে বীরভূমের সাংসদকে রাজ্য সহ-সভাপতি করা হয়। আর আজ মঙ্গলবার শতাব্দীকে দেখা গেল পুরুলিয়ায় মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে একমঞ্চে। আরও পড়ুন, ভবানীপুরে পাল্টা চমক দেবে BJP: Samik, এটা Mamata-র হার স্বীকার : Sujan