Leopard Killed: শিলিগুড়িতে চিতাবাঘ 'খুন' করে মাংস খাওয়ার অভিযোগ! গ্রেফতার ২
একটি ফেসবুক পোস্ট(Facebook Post)। তা দেখেই চক্ষু চরকগাছ বনদফতরের(Forest Department) কর্তাদের। মৃত চিতাবাঘের পাশে দাঁড়িয়ে কয়েক জন যুবক। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল(Viral) হওয়া ওই পোস্টের সূত্র ধরেই চিতাবাঘের ছাল সহ গ্রেফতার করা হয় ২ জনকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়ায় চিতাবাঘের(Leopard Killed) মাংস রান্ন করে খাওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত অনেকেই। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে গোটা একটা গ্রামের বাসিন্দারা চিতাবাঘের মাংস(Leopard Flesh) খেয়েছেন। তবে চিতাবাঘটিকে মারা হয়েছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়। চিতাবাঘের চামড়া(Leopard Carcass) ও পা পাঠানো হল পরীক্ষার জন্য।
একটি ফেসবুক পোস্ট(Facebook Post)। তা দেখেই চক্ষু চরকগাছ বনদফতরের(Forest Department) কর্তাদের। মৃত চিতাবাঘের পাশে দাঁড়িয়ে কয়েক জন যুবক। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল(Viral) হওয়া ওই পোস্টের সূত্র ধরেই চিতাবাঘের ছাল সহ গ্রেফতার করা হয় ২ জনকে। তাতেই সামনে আসে হাড়হিম করা ঘটনা। ধৃত ২ জনকে জেরা করে নাম উঠে আসা আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তাঁর কাছ থেকে চিতাবাঘের থাবা বা পা উদ্ধার হয়েছে।
তদন্তে নেমে বন দতফতর জানতে পেরেছে, শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়ার(Phasidewa) কমলা চা বাগানের(Kamala Tea Garden) রায় লাইনে রীতিমতো ভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। গোটা একটি গ্রামের বাসিন্দারা চিতাবাঘের মাংস খেয়েছেন। বেশ কয়েকজন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। ধৃত ৩ অভিযুক্ত তাপস খুড়া, মুকেশ খেড়কাট্টা ও পিতালুস খেড়কাট্টাকে শনিবার আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তদের দাবি চিতাবাঘটি মৃত ছিল।
চিতাবাঘটিকে মৃত অবস্থায় দেখা গেলে, বন দফতরে খবর দেওয়া হল না কেন? উঠছে প্রশ্ন। চিতাবাঘটি মৃত ছিল নাকি সেটিকে মারা হয়েছে তাও স্পষ্ট নয় এখনও।
চিতাবাঘের চামড়া ৮০ হাজার টাকায় নেপালে পাচারের(Smuggling) আগেই বনদফতর ও সীমা সুরক্ষা বাহিনী অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। বাঘের চামড়া সহ পা নিউ আলিপুর জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ায় পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্তে বিশেষ দল গঠন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- Leopard in Purulia: জঙ্গলে ঘাপটি মেরে বসে চিতাবাঘ! ক্যামেরায় ধরা পড়ল ছবি
আরও পড়ুন- পণ্যবাহী জাহাজের প্রোপেলারের আঘাত, মারাত্মক আহত ৯ ফুটের গ্যাঞ্জেটিক ডলফিন