Anish Khan Murder Case: হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ SIT-র; গোপন জবানবন্দি নিতে কেন দেরি?, প্রশ্ন বিচারপতির
ফের আনিসের বাড়িতে তদন্তকারীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আনিসকাণ্ডে (Anish Khan Murder Case) হাইকোর্টে (Calcutta High Court) প্রথম রিপোর্ট জমা দিল সিট (SIT)। 'গোপন জবানবন্দি কবে নেওয়া হবে? কেন দেরি হচ্ছে'?, প্রশ্ন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। আগামি সোমবার ফের মামলার শুনানি।
গভীর রাতে পুলিস পোশাকে কারা এসেছিল বাড়িতে? কারা খুন করল ছাত্রনেতা আনিস খানকে? তদন্তে নেমেছে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট(SIT)। ইতিমধ্যেই গ্রেফতারও করা হয়েছে হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা ও সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্যকে। ধৃতেরা এখন পুলিসি হেফাজতে।
আরও পড়ুন: Municipal Election 2022: সোমবারই পুরসভার চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা? দু'চারটে চেঞ্জ করেছি : Mamata
এদিকে আনিসকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছিলেন পরিবারের লোকেরা। এমনকী, সিটের প্রস্তাব মেনে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তেও রাজি ছিলেন না তাঁরা। মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি বলেন, 'যখন ময়নাতদন্ত করা হবে তখন জেলা বিচারক বা তাঁর কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন। তাঁদের সামনে ময়নাতদন্ত হবে। এছাড়া যে ফোনটি নেওয়া হবে সেটাকে সিল করে CFSL হায়দরাবাদ বা কেন্দ্রীয় ফরেনসিক ল্যাবে পাঠাতে হবে'। শুধু তাই নয়, তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে ২ সপ্তাহের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয় সিটকে।
আরও পড়ুন: Job Racket: বিদেশে চাকরির টোপ! প্রতারণার ফাঁদ পাতা কলকাতায়; নয়ডা থেকে গ্রেফতার চক্রের পাণ্ডা মহিলা
হাইকোর্টের নির্দেশে কবর থেকে তুলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয়েছে আনিস খানের দেহে। তদন্তে কতটা অগ্রগতি হল? এদিন হাইকোর্টে ২০ পাতার রিপোর্ট জমা দিল সিট। শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানতে চান, 'সংশ্লিষ্ট থানার ওসি-কে কি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে'? জবাবে রাজ্যের অ্য়াডভোকেট জেনারেল (AG) বলেন, ওসি-কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু তাঁর গোপন জবাববন্দি নেওয়া হয়নি'। কেন? এজির বক্তব্য, 'হায়দরাবাদের CFSL রিপোর্ট আসতে দু'সপ্তাহ সময় লাগবে'। এরপর বিচারপতি বলেন, 'ওসি-কে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। এতদিন ধরে কেন তাঁর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হচ্ছে না? রাজ্যের গর্ব সবার কাছেই। আমরা চাইব, ভালোটা হোক। সত্য সামনে আসুক'।
এদিকে এদিন ফের আনিস খানের বাড়িতে যান সিটের সদস্যরা। পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। ঘুরে দেখেন ঘটনাস্থলও। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ছাত্রনেতা আনিস খানকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের লোকেদের দাবি, সেদিন রাতে বাড়িতে আসে চার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। পরনে পুলিসে ইউনিফর্ম। আমতা থেকে এসেছে বলে জানায় তারা। আনিস বাড়িতে আছে কিনা, জানতে চায় ওই ৪ জন। কিন্তু, মৃতের বাবা যখন বলেন 'আনিস বাড়িতে নেই', তা কিন্তু মানতে চায়নি অভিযুক্তরা। বরং তিনজন বাড়ির ভিতরে গিয়ে উপরে উঠে যায়। আর নিচেই দাঁড়িয়েছিল একজন। মৃতের বাবার অভিযোগ, আনিসকে ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে খুন করেছে ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা।