নিজস্ব প্রতিবেদন:  'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া। কিন্তু বর্ধমানের বিভিন্ন প্রান্তে শিবিরগুলিতে উপচে পড়া ভিড়ে কার্যত শিকেয় উঠেছে সামাজিক দূরত্ব বিধি! প্রশ্নের মুখে পড়ে সদুত্তর দিতে পারলেন না খোদ জেলাশাসক এনাউর রহমান। তিনি বলেন, 'এই কর্মসূচি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা আছে। তাই শিবিরগুলিতে ভিড়ও হচ্ছে।' এদিন জেলার বিভিন্ন শিবিরে গিয়ে কাজকর্ম খতিয়ে দেখেন রাজ্যে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বরুণ রায়। সবকিছু দেখার পর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: লক্ষ্য ১২টি বিধানসভা, ন্যাড়া হয়ে জঙ্গলমহলে সংকল্প যাত্রা শুরু করল যুব মোর্চার ১২ জন


'যখন যেখানে দরকার, আপনার দুয়ারে আসছে সরকার।' ভোটের আগে এই স্লোগানকে সামনে রেখে নয়া কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মসূচির নাম 'দুয়ারে সরকার'। ১ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে, এমনকী কলকাতায়ও চলছে এই কর্মসূচি। প্রথম দিন থেকে ব্যাপক সাড়া পড়ে গিয়েছে সর্বত্রই। ব্যতিক্রম নয় বর্ধমানও। জেলার প্রতিটি এলাকায় শিবিরগুলির সামনে মানুষের লম্বা লাইন চোখে পড়ছে। কিন্তু সামাজিক দূরত্ব বিধি? করোনা আতঙ্ক ভুলে কার্যত ঠেসাঠেসি, গাদাগাদি করেই লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। জেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।


আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সাথীর ফর্ম বিলি করছেন বিজেপি কর্মীরা, চলছে ক্যাম্প! কটাক্ষ করছে তৃণমূল


এরইমধ্যে 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচির কাজ সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে শুক্রবার বর্ধমানে যান রাজ্যের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বরুণ রায়। এদিন কলকাতা থেকে সোজা বর্ধমানের ভাতারে চলে যান তিনি। সেখানে নাসিগ্রাম স্টেডিয়ামের শিবিরটি প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পরিদর্শন করেন। আলোচনা সেরে নেন স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে। তাঁর পরের গন্তব্য ছিল, ভাতারেরই বড়বেলুন মোহিনীমোহন উচ্চ বিদ্যালয়। প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির সঙ্গে ছিলেন পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বিডিও তপন সরকার-সহ অন্যন্য আধিকারিকরাও। এরপর বর্ধমান শহরের সার্কিট হাউসে জেলাশাসক এনাউর রহমান ও জেলার পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক। সবশেষে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি হাজির হন টাউনহলে 'দুয়ারে সরকারের' শিবিরে। সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বরুণ রায়।