নিজস্ব প্রতিবেদন : কলকাতায় বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হলদিয়া IOC অগ্নিকাণ্ডে জখম ১৭ জনের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ানো হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কমবেশি প্রত্যেকেরই ৬০ শতাংশ বার্ন ইনজুরি রয়েছে। মুখ থেকে শরীরের একাংশ ঝলসে গিয়েছে। এর পাশাপাশি শ্বাস নেওয়ার সময় বিষাক্ত রাসায়নিক ধোঁয়া শরীরে ঢুকে যাওয়ায় জখম শ্রমিকদের শ্বাসযন্ত্র ও হার্টেও ক্ষতি হয়েছে। ৭ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের একটি তাঁদের পর্যবেক্ষণ করছে। ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁদের। অগ্নিকাণ্ডের পরই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রিন করিডর করে জখমদের কলকাতায় নিয়ে আসা হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

#UPDATES:


12:55- রাজ্য ফরেনসিক এক্সপার্টের টিম যাচ্ছে হলদিয়া রিফাইনারিতে। কেমিক্যাল এক্সপার্টরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রশাসনকে রিপোর্ট দেবে। সেই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে জেলা প্রশাসন তদন্ত শুরু করবে।


প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড-এ গতবছরও এই সময় শাটডাউন চলাকালীন ন্যাপথা ট্যাঙ্কে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। তাতে আহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। এই বছরও শাটডাউনের সময় সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল। ন্যাপথা ট্যাঙ্কের পাশে ওয়েল্ডিং করতে গিয়ে আগুনের ফুলকি ছিটকে ঘটে গেল অগ্নিকাণ্ড। এখন গতবছর দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও, এই বছর শাটডাউনের সময় আগে থেকে কেন সজাগ হয়নি IOC? ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহল থেকে শ্রমিকদের মধ্যে সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 


সর্বোপরি মঙ্গলবার দুর্ঘটনার ঠিক আগেই মকড্রিল চলে। দুর্ঘটনা ঘটলে কেমন করে শ্রমিকদের রিকভারি করা হবে? তাই নিয়েই মকড্রিল চলে। উপস্থিত ছিল এনডিআরএফ ও আইওসির সমস্ত রিকভারি টিম। সেই মকড্রিলের ঠিক পরের মুহূর্তেই ঘটে যায় সত্যিকারের দুর্ঘটনা। এখন মকড্রিলের পরের মুহূর্তেই বড়সড় ঘটনা ঘটে যাওয়ায় সব মহল থেকেই নানা রকম প্রশ্ন উঠছে। প্রসঙ্গত, ২ মাসের এই শাটডাউন চলাকালীন পাঞ্জাবের একটি ঠিকাদার সংস্থা  রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করছিল। ওই সংস্থার অধীনে প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক কাজ করছেন। যাঁরা দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন, তাঁদের সিংহভাগই বহিরাগত বলে জানা গিয়েছে। এমনকি, যে ৩ জন শ্রমিকের ঝলসে মৃত্যু হয়েছে, তাঁরাও পাঞ্জাবেরই বাসিন্দা। 


কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটল, সবটাই তদন্তসাপেক্ষ বলে হলদিয়া IOC কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। ওদিকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যথাযথ তদন্ত চেয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে শ্রমিক সংগঠন। তাদের দাবি, কার গাফিলতি তা জানাতে হবে। মৃত এবং আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। স্থায়ী চাকরি দিতে হবে। অন্যদিকে, হলদিয়া রিফাইনারি প্ল্যান্ট সচল থাকলেও শাটডাউনের কাজ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে বলে খবর।


আরও পড়ুন, Jalpaiguri: অ্যাম্বুল্যান্সে অক্সিজেন শেষ! হাসপাতালে যাওয়ার পথে মৃত্যু করোনা রোগীর


Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App