করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে কাজ বন্ধ করে দিলো মালবাজারের রেলের গ্যাংম্যানরা

গ্যাঙম্যানদের অভিযোগ, এখন সব ট্রেন বন্ধ। ডুয়ার্স রুট দিয়ে হাতে গোনা কয়েকটি মাল ট্রেন চলাচল করে কিন্তু এর জন্য প্রতিদিন তাঁদের আট ঘন্টা দলবদ্ধ ভাবে রেল লাইনে কাজ করতে হচ্ছে

Updated By: Apr 12, 2020, 04:45 PM IST
করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে কাজ বন্ধ করে দিলো মালবাজারের রেলের গ্যাংম্যানরা
নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনাভাইরাসের ভয়াবহতার জেরে লকডাউন গোটা দেশ। কেউ সম্পূর্ণ বাড়িতে বসে, কেউ বা ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছেন। বুক চিতিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন শুধু জরুরি পরিষেবার কর্মীরা। বাস, ট্রেন, বিমান চলাচল বন্ধ। এর মধ্যে কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে রেলের গ্যাঙম্যান বিভাগের কর্মচারিদের। সামাজিক দূরত্ব না মানা তো দূর, অভিযোগ তাঁদের দলবদ্ধভাবে কাজ করানোর হচ্ছে। তাই রবিবার কাজ বন্ধ করে দিলেন মালবাজার মহকুমার কিছু গ্যাঙম্যানরা। 

গ্যাঙম্যানদের অভিযোগ, এখন সব ট্রেন বন্ধ। ডুয়ার্স রুট দিয়ে হাতে গোনা কয়েকটি মাল ট্রেন চলাচল করে কিন্তু এর জন্য প্রতিদিন তাঁদের আট ঘন্টা দলবদ্ধ ভাবে রেল লাইনে কাজ করতে হচ্ছে। এর ফলে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। এই ভাবে কাজ কারলে যে কোনও সময় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখছেন কর্মীরা। তাঁদের কথায়, ‘আমাদের পরিবার আছে, গ্রাম আছে। এই ভাবে কাজ করলে পরিবার এবং গ্রামের লোকেরাও আমাদের থেকে আক্রান্ত হতে পারে। সরকার থেকে আমাদের মাক্স এবং সেনিটাইজার দিয়েছে কিন্তু যেভাবে এক সঙ্গে চার পাঁচজন কাজ করছি বিভিন্ন রেল লাইনে তাতে আমাদের সংক্রামণের আশঙকা বেড়ে যাচ্ছে।’

আরও পড়ুন- ২১ বছর পর মামলা! ৪৫ বছরের মাথায় ফাঁসি হল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনির

ওই কর্মচারিদের বক্তব্য, তাঁদের কাজ করতে কোন অসুবিধা নেই কিন্তু এ ভাবে এক সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করা সম্ভব নয়। লকডাউনের সময় অন্য কাজ দেওয়া হোক বলে দাবি তাঁদের। গ্যাঙম্যানদের ইনচার্জ মৃণাল চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি গ্যাঙম্যানদের অনেকবার বলেছি কাজ করতে কিন্তু ওনারা কাজ করতে রাজি নন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উনারা কাজ করবে না বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সমস্ত বিষয় জানাবেন বলে আশ্বাস দেন মৃণালবাবু।

রবিবার ৫ জন গ্যাঙম্যান দুপুর নাগাদ কাজ বন্ধ করে দেন। মালবাজার মহকুমার ডামডিম থেকে বাগ্রাকোট পর্যন্ত এই যুবকেরা প্রতিদিন রেললাইন এ কাজ করে আসছিলেন।  তবে যে ভাবে দিন দিন এই ভাইরাসে আক্রান্ত বেড়েই চলেছে, তাতে ভয়ে আজ দুপুর থেকে কাজ বন্ধ করেছেন তাঁরা।

.