নিজস্ব প্রতিবেদন : কেন্দ্রে মোদী সরকারকে গদিচ্যুত করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে উনিশে জানুয়ারির 'ইউনাইটেড ইন্ডিয়া'র ব্রিগেডকে সমর্থন জানিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। সমর্থন বার্তায় কেন্দ্রে বিজেপি সরকারকে হঠাতে বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলিকে একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি। ব্রিগেডে কংগ্রেসের মুখ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে ও অভিষেক মনু সিংভি। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস যে রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে কোনও সমঝোতায় যেতে রাজি নয়, তা সেদিন-ই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। কিন্তু এদিন সোমেন মিত্র তাঁর বক্তব্যে বরং ইঙ্গিতপূর্ণভাবে উসকে দিলেন আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোটের সম্ভাবনার কথা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, বিনিয়োগে ১০ লক্ষ কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা, বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর


কংগ্রেস সভাপতির ডাকে আজ দিল্লি গেলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। যাওয়ার পথে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। জানান, আগামী লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করতে দিল্লি যাচ্ছেন তিনি। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বৈঠক ডেকেছেন কংগ্রেস সভাপতি। হাইকম্যান্ডের সঙ্গে সেই বৈঠকে নির্বাচনের রণনীতি নিয়েই আলোচনা হবে। উল্লেখ্য, ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট হয়েছিল রাজ্যে। সেই প্রসঙ্গে আগামী লোকসভা নির্বাচনেও রাজ্যে সিপিএম-এর সঙ্গে কংগ্রেসের জোট বাঁধার কোনও সম্ভাবনা আছে কিনা? দিল্লি গিয়ে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তিনি এই বিষয়ে আলোচনা কিনা? সোমেন মিত্রের কাছে তা জানতে চান সাংবাদিকরা।


উত্তরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, "পলিটিক্সে সব-ই সম্ভব। আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করব।" রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির এই মন্তব্য যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ। আগামীদিনেই তার উত্তর মিলবে।


আরও পড়ুন, বিতর্কের মাঝেই মোদীর হাতে উদ্বোধন হচ্ছে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের


এদিন বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে কলকাতা পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারের বাসভবনে সিবিআই হানার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা কর্মসূচিকেও কটাক্ষ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। বলেন,"মদন মিত্র, কুণাল ঘোষ, সৃঞ্জয় বোস যখন অ্যারেস্ট হয়েছিল, এত তৎপরতা দেখানো হয়নি। কিন্তু এখন রাজীব কুমারকে নিয়ে এত তৎপর কেন? তাহলে কি কেচো খুঁড়তে কেউটে বেরোবে তার ভয়ে?" এখানে উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় আঘাত এই অভিযোগে ৩ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে মেট্রো চ্যানেলে ধরনায় বসলে, 'পাশে থাকার' বার্তা দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী।