শিকলে বন্দি মানসিক অসুস্থ ছেলে, চিকিৎসার জন্য সাহায্য চেয়ে মমতার কাছে আবেদন
কোনও কারণে শিকল থেকে ছাড়া পেলেই অত্যাচার শুরু করে গ্রামে। ভাঙচুর করে গাড়ি এবং মারধর করে সবাইকে।
প্রসেনজিৎ সরদার: শিকলে তালা বন্দী জীবন। অসহায় পরিবার চোখের জলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আবেদন করছেন। দীর্ঘ দুই বছর মানসিকভাবে অসুস্থ। চিকিৎসা করেও সুস্থ হচ্ছে না। তাই শিকল দিয়ে তালাবন্দি বাড়ির বড় ছেলে। কোনও কারণে শিকল থেকে ছাড়া পেলেই অত্যাচার শুরু করে গ্রামে। ভাঙচুর করে গাড়ি এবং মারধর করে সবাইকে।
সে কারণেই তালাবন্দি করে রাখতে হয় তাকে। এমনই এক ঘটনার সাক্ষী দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বাসন্তীর তালদাহ উত্তর পাড়া গ্রাম। গ্রামের বাসিন্দা উত্তম মন্ডলের দুই সন্তান। বাড়ির বড় ছেলে সুমন মন্ডল মানসিকভাবে অসুস্থ দীর্ঘ দুই বছর। ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন বাবা-মা। সমস্ত জমি জায়গা বিক্রি করেও সুস্থ হয়নি ছেলে।
মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় শিকলে বন্দী অবস্থায় রাখতে হয়। শিকল থেকে ছাড়া পেলে অত্যাচার শুরু করে গ্রামে। মারধোর করে গ্রামের মানুষদের এবং ভাঙচুর করে যা পায়। ছেলে অত্যাচারে ক্ষতিপূরণ গুনতে গুনতে শেষ বাবা-মা। সেই কারণে ছেলেকে তালাবন্দি রাখতে হয়। তবে তার বাবা-মায়ের আবেদন যদি মুখ্যমুন্ত্রী তাদের পাশে দাঁড়ান বা চিকিৎসার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে সুরাহা মিলতে পারে।
এদিন ঠাকুরমা জেঠিমা কাঁদতে কাঁদতে বলে তাদের বাড়ির সন্তানকে একটু সরকার দেখুক। তাকে সুস্থ করার সাহায্য করুক। সুমনের বাবা-মায়েরও একই আর্জি।