South 24 Parganas: ভয়ংকর! কাঁকড়া ধরার জন্য নদীতে নামতেই বাঘ ঝাঁপিয়ে পড়ল কর্ণধরের উপরে, কামড়ে-ছিঁড়ে...
Tiger in Village: কর্ণধরের বাড়িতে স্ত্রী, তাঁর ৭ বছরের মেয়ে ও বৃদ্ধ বাবা আছেন। সংসারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন কর্ণধরই। জীবিকার কারণে নিয়মিত কাঁকড়া ধরার জন্য যেতে হত তাঁকে। আজ সকালেও সেইমতো রওনা দেন। এ বিষয়ে বৈধ পাশও আছে তাঁর। কিন্তু...
তথাগত চক্রবর্তী: বাঘের আতঙ্কের মধ্যেই বাঘের হামলায় মৃত্যু হল এক মৎস্যজীবীর। ঘটনাটি ঘটেছে বইটা বাঙ্গির জঙ্গলে। আজ, বৃহস্পতিবার সকালেই কুলতলি ব্লকের মৈপিঠ থানা এলাকার বৈকুন্ঠপুরের বাসিন্দা কর্ণধর মণ্ডল (২২) -সহ মোট ৫ জন কাঁকড়া ধরার জন্য জঙ্গলে যান। নৌকা থেকে কাঁকড়া ধরার জন্য নদীতে নামতেই বাঘ ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্ণধরের উপরে।
কর্ণধরের সঙ্গীরা তাঁকে বাঘের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়নে। সঙ্গীরা লাঠি দিয়ে বাঘের উপর আঘাত করেন। বাঘ ছেড়ে দেয় কর্ণকে। কিন্তু বিশ্রী ভাবে আহত কর্ণধরকে বাড়িতে নিয়ে আসার পথে নৌকাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। কর্ণধরের দেহ আপাতত কুলতুলি ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছে কুলতুলি থানা ও বন দফতর।
কর্ণধরের বাড়িতে স্ত্রী, তাঁর ৭ বছরের মেয়ে ও বৃদ্ধ বাবা আছেন। সংসারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন কর্ণধরই। জীবিকার কারণে নিয়মিত কাঁকড়া ধরার জন্য যেতে হত তাঁকে। আজ সকালেও সেইমতো রওনা দেন। এ বিষয়ে বৈধ পাশও আছে তাঁর।
এদিকে, রাতভোর বাঘের আতঙ্কেই কাটাছিল কুলতলি ভুবনেশ্বরী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যগুড়গুড়িয়া অঞ্চলের বাসিন্দাদের। ভুবনেশ্বরী গ্রাম-সংলগ্ন মাকড়ি নদীর চর-সংলগ্ন বনের মধ্যে এখনও বাঘ আছে বলেই মনে করছেন গ্রামবাসীরা। এই এলাকা লোকালয় থেকে খুব কাছে। ফলে যেকোনো সময়ে বাঘ লোকালয়ে চলে আসতে পারে। তাই আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসীরা।
আসলে বুধবার রাতেই গভীর জঙ্গল থেকে বেরিয়ে মাকড়ি নদী পেরিয়ে লোকালয়-সংলগ্ন রাস্তার মধ্যে চলে এসেছিল বাঘ। রাতে বাইক নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন এলাকারই দুই বাসিন্দা। রাস্তার উপর বাঘ দেখে তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। খবর দেওয়া হয় গ্রামবাসীদের। বন দফতর এবং মৈপিঠ উপকূল থানাতেও খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে রাতেই এলাকায় আসেন বন দফতরের কর্মীরা ও পুলিস। রাতে আগুন জ্বেলে গ্রামপাহারা দিয়ে কোনও রকমে রাত কাটান গ্রামবাসীরা। সকালবেলায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা জড়ো হন নদীর পাড়ে। নদী পেরিয়ে বাঘ যাতে গভীর জঙ্গলে ফিরে যায় সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে বন দফতরসূত্রে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বন দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।