শ্রীকান্ত ঠাকুর: পঞ্চায়েত ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি তাই এখন থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাড়ায় পাড়ায় রুটমর্চ করা উচিত এবং মানুষের ভয় ভাঙানো উচিত। যাতে মানুষ ভোট দিতে যেতে ভয় না পায়। তারপর তিনি যেখানে পছন্দ করবেন সেখানেই যাতে ভোট দিতে পারেন এমনই দাবি তুলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অবশ্য কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার প্রসঙ্গে বিপ্লব মিত্র জানিয়েছেন পর্যাপ্ত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর রাজ্যে এসেছে। কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী কতটা নিয়োগ করা হবে তা সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন, এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের কিছু করার নেই।


দক্ষিণ দিনাজপুরে আগামী ২৮ তারিখ লোকসভা নির্বাচনের নোটিফিকেশন জারি করবেন জেলাশাসক। তারপরই শুরু হয়ে যাবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ। একদিকে প্রচার চলছে অন্যদিকে প্রার্থীরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভোট যুদ্ধের। কিন্তু এরই মাঝে জেলায় ভোটারদের ভয় দূর করতে আরও বেশি করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।


আরও পড়ুন: Weather Update: বৃহস্পতিতেই বৃষ্টি বিপর্যয়, জেলায় জেলায় ঝড়- বজ্রপাতের পূর্বাভাস


তাঁর আরও দাবি যে ভোট লুঠ করার সমস্ত ব্যবস্থা যাতে করে দেওয়া যায় সেই চেষ্টাই করছে রাজ্য সরকার। জেলাশাসক এবং জেলা পুলিস সুপারদের উপর চাপ তৈরি করা হয়েছে যে কারণেই তারা সঠিক রিপোর্ট জমা দিতে পারছেন না বলে দাবি করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।


পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট সাব ডিভিশন ছাড়া জেলার অন্য কোথাও আর সেভাবে ভালো ফলাফল করতে পারেনি বিজেপি। ৬৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে মাত্র পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে গিয়েছে। জেলা পরিষদের কোনও আসনে বিজেপি জয়লাভ করতে পারেনি। এমনকি পঞ্চায়েত সমিতিও দখল করতে পারেনি জেলার কোথাও।


ভোটের সময় গঙ্গারামপুর, হরিরামপুর, কুশমন্ডি, তপনের বিভিন্ন এলাকায় বুথ দখল, ছাপ্পা ভোট এমনকি ব্যালট বক্স ছিনতাইয়ের মতন অভিযোগও এনেছিল বিজেপি। যে কারণে লোকসভা নির্বাচনের ভোটারদের ভয় ভাঙাতে এখন থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ করা উচিত বলে দাবি করছেন সুকান্ত বাবু।


আরও পড়ুন: Yusuf Pathan Vote Campaign: বহরমপুরে প্রচারে আসছেন সচিন! ইউসুফের বিরুদ্ধে কমিশনে কংগ্রেস


নির্বাচন কমিশনের গাইড লাইন অনুযায়ী এখন থেকে কোনও বুথকেই আর স্পর্শকাতর বলা যাবে না। তার পরিবর্তে বুথগুলিকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে সেনসিটিভ বুথ ও ভালনারেবেল বুথ। যে সমস্ত বুথে গত নির্বাচনে নব্বই শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বা যে কোনও এক দলের প্রার্থী ৭৫ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন সেই সমস্ত ভোট দান কেন্দ্রকে ক্রিটিকাল বুথ বলা হচ্ছে। অন্যদিকে ভালনারেবেল বুথ বলতে আতঙ্কে বা ভয়ে রয়েছেন এমন ভোটার সম্বলিত বুথকে চিহ্নিত করা হচ্ছে।


দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে ভোট প্রচারে ঝড় তুলেছে দুই পক্ষই। একে অপরকে জমি ছাড়তে নারাজ। দিনরাত এক করে প্রার্থীরা প্রচার করে চলেছেন গ্রামগঞ্জে বিভিন্ন জায়গায়। তবে এখনও পর্যন্ত জেলার কোথাও সেভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি প্রতিদিন দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ বিজেপির।


জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা জানিয়েছেন ১৩৩১টি বুথের মধ্যে ১১৫০টি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী টহল হয়েছে। যে সমস্ত বুথে আগে কোনও ঘটনা ঘটেছিল সেই বুধগুলোতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত ভালনারেবল বা ক্রিটিকাল বুথের সংখ্যা নির্দিষ্ট করা হয়নি। এটা কনটিনিউয়াস প্রসেসের মধ্যে রয়েছে।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)