NEET Rank Card Fraud: নিটের র্যাঙ্ককার্ডে জালিয়াতি, এমবিবিএস-এ ভর্তি হতে এসে গ্রেফতার ছাত্রী
NEET Rank Card Fraud: এনিয়ে কল্যাণী থানায় অভিযোগ জানান কলেজ কর্তৃপক্ষ। কল্যাণী থানার পুলিস গতকাল রাতে ওই ছাত্রীকে আটক করে জিজ্ঞসাবাদ করে। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়
বিশ্বজিত্ মিত্র: নিয়োগ দুর্নীতিতে তোলপাড় রাজ্য। টাকা দিয়ে চাকরি কেনায় গতকালই ৪ শিক্ষকের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এবার সর্বভারতীয় মেডিক্যাল জয়েন্টের(নিট) র্যাঙ্ককার্ড জালিয়াতি করে ভর্তি হতে এসে পাকড়াও ছাত্রী। র্যাঙ্ককার্ডের একটি সংখ্যা উড়িয়ে দিয়ে নিজের র্যাঙ্ক অনেকটা কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন ওই ছাত্রী। সন্দেহ হওয়ায় স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরে কলেজের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় ওই ছাত্রীকে। গতকাল ওই ঘটনা ঘটেছে কল্যাণী কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হসপিটালে।
আরও পড়ুন-লাঠি দিয়ে মাকে বেধড়ক মার; গায়ে গরম জল, ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই....
কী করেছিলেন শ্রেয়া হালদার নামে ওই ছাত্রী? কল্যাণীর আনন্দনগরের বাসিন্দা ওই ছাত্রী গতকাল কাউন্সেলিংয়ে আসেন। সেখানে তিনি তাঁর র্যাঙ্ককার্ড ও অন্যান্য নথিপত্র জমা দেন। দেখা যায় তাঁর র্যাঙ্ককার্ডে থাকা র্যাঙ্ক ও কলেজের নথিতে থাকা র্যাঙ্ক মিলছে না। নথিপত্র পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা যায় শ্রেয়ার অল ইন্ডিয়া র্যাঙ্ক ৪৪৫৯৭৩। আর তার আনা র্যাঙ্ককার্ডে র্যাঙ্ক হল ৪৪৫৭৩। মাঝের ৯ সংখ্য়াটাই নেই। ফলে র্যাঙ্ক এক ধাক্কায় হাজারের কোটায় নেমে এসেছে। সন্দেহ হওয়ায় কিউআর কোডের সঙ্গে তার র্যাঙ্ক মিলিয়ে দেখা হয়। সেখানেও অনিয়ম ধরা পড়ে। যোগাযোগ করা হয় স্বাস্থভবনের সঙ্গে। সেখান থেকেও জানিয়ে দেওয়া হয় শ্রেয়ার ওই র্যাঙ্ককার্ড জাল।
গোটা ঘটনা নিয়ে কী বললেন কলেজের প্রিন্সিপ্যাল? এনিয়ে কলেজের অধ্য়ক্ষ ডাক্তার অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, কাল থেকে এমবিবিএসের কাউন্সেলিং শুরু হয়েছে। একজন ক্যান্ডিডেট এসেছিল। নাম শ্রেয়া হালদার। ও ওর নথিপত্র জমা দেয়। তা খতিয়ে দেখার সময়ে দেখা যায় ও যে র্যাঙ্কটা ও দেখাচ্ছে তা মিলছে না। নিট-এ ওর আসল র্যাঙ্ক হল ৪৪৫৯৭৩। আর ও এখানে যে র্যাঙ্ক দেখাচ্ছে তাতে ৯ সংখ্যাটাই গায়েব। তার পরে র্যাঙ্ক হয়েছে ৪৪৫৭৩। ওই র্যাঙ্ক কিউআর কোডের সঙ্গে ম্যাচ হচ্ছে না। এর পাশাপাশি ও ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের যে অ্যালর্টমেন্ট লেটার এনেছে তাতে উপরে অ্যালর্টমেন্ট ডেট রয়েছে। সেটা কিন্তু থাকার কথা নয়। আমাদের কলেজের নামটাই অন্যরকম লেখা হয়েছে। লেখা রয়েছে কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড হসপিটাল। কলেজের নামই নেই। এসব দেখার পর আমাদের সন্দেহ হয়। আমরা স্বাস্থ্যভবনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। ওখান থেকেও বলা হয়ে ওই র্যাঙ্কটি ভুল। ওই কথা জানার পর ক্যান্ডিডেট ও তার বাবাকে তাদের জমা দেওয়া ফিস ও ওরিজিনাল সার্টিফিকেট ফেরত দিয়ে দিই। এরপর ওদের বলা হয় ওই জালিয়াতি স্বীকার করতে। ওরা তা করতে চাননি। এরপরই ওদের নামে এফআইআর করা হয়। এবার আইন অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। র্যাঙ্ককার্ড পরীক্ষা করলেই বোঝা যায় তা এডিট করা হয়েছে। গোটা বিষয়টাই জালিয়াতি। এ ব্যাপারে আমরা সতর্ক রয়েছি।
এদিকে, এনিয়ে কল্যাণী থানায় অভিযোগ জানান কলেজ কর্তৃপক্ষ। কল্যাণী থানার পুলিস গতকাল রাতে ওই ছাত্রীকে আটক করে জিজ্ঞসাবাদ করে। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত ওই ছাত্রীকে আজ কল্যাণী আদালতে পেশ করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি ওই ছাত্রী ও তার বাবা। ধৃত ছাত্রীর বিরুদ্ধে আইপিসির ৫টি ধারায় মামলা করা হয়েছে।