Midnapore: বিকেলে বাবার সঙ্গে কথা, রাতে হোস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার চিকিত্সকের ঝুলন্ত দেহ
কলেজ সূত্রে খবর, মঙ্লবার রাত দশটা নাগাদ হোস্টেলের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন মিনি
![Midnapore: বিকেলে বাবার সঙ্গে কথা, রাতে হোস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার চিকিত্সকের ঝুলন্ত দেহ Midnapore: বিকেলে বাবার সঙ্গে কথা, রাতে হোস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার চিকিত্সকের ঝুলন্ত দেহ](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2021/11/10/353642-1.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন:মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী হোস্টেল থেকে উদ্ধার হল এক চিকিত্সকের ঝুলন্ত দেহ। এমডি পেডিয়াট্রিক পাঠরতা ওই চিকিত্সকের নাম মিনি ঘোষ। বাড়ি মুর্শিদাবাদের কান্দিতে। মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। সেটি বর্তমানে রয়েছে মেদিনীপুর কোতয়ালি থানার পুলিসের হাতে।
মৃত চিকিত্সক ছাত্রীর বাবার দাবি, গতকাল সকালে মিনির সঙ্গে কথা হয়েছিল। বিকেলেও ফোন করি। ও বলে হাসপাতাল থেকে এলাম। কাজের চাপ রয়েছে। খাওয়াদাওয়া করে একটু বিশ্রাম করে রাউন্ডে যাব। রাত দশটা নাগাদ ফোন করলে ওর ফোন সুইচড অফ পাই। তারপরই কলেজ থেকে ফোন করে ঘটনার কথা জানানো হয়।
আরও পড়ুন-Malda: পড়শি বিবাদে টোটোচালককে প্রাণনাশের 'হুমকি' পুর প্রশাসকের ছেলের
কলেজ সূত্রে খবর, মঙ্লবার রাত দশটা নাগাদ হোস্টেলের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন মিনি। সাড়ে দশটা নাগাদ তার ঘরে বন্ধ দেখে সতীর্থরা ধাক্কাধাক্কি করে। কিন্তু তাতেও কোনও সাড়া মেলেনি। এরপরই দরজা খুলে মিনির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যার ঘটনা। তবে অবসাদ বা প্রণয় ঘটিত কোনও কারণে এই ঘটনা কিনা তা খতিয়ে দেখছে কোতয়ালি থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই মৃত্যু ঘটনা নিয়ে মিনির সহপাটিদের জেরা করা হচ্ছে। মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে এদিন একটি প্রেজেন্টেশন তৈরি করছিলেন মিনি। পাশাপাশি আরও জানা যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ তেমন কিছুই নেই ওই সুইসাইড নোটে। মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করা হয়নি। বাবা-মার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মিনি।
আরও পড়ুন-পুলিসের সাহায্য ছাড়া ভোটে জিতবে না TMC, দাবি Dilip-র
ডাক্তার মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়েই বুধবার সকালে মুর্শিদাবাদ থেকে ছুটে এসেছেন মৃত মিনি ঘোষের বাবা ও পরিবারের সদস্যরা। তারা বুঝে উঠতে পারছে না কীভাবে তাদের একমাত্র মেয়ে মারা গেল। বাবা বিনয় ঘোষ জানান, প্রত্যেকদিনের মত গতকাল সকালে এবং বিকেলে মেয়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। তবে রাত্রে ১০.৩০টার সময় মেয়েকে ফোন করলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। কাজের চাপ ছিল তবে কোনও মানসিক অবসাদ ছিল বলে কখনও বোঝা যায়নি। মৃতার মামা জানিয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখেই তারা থানায় অভিযোগ জানাবেন।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)