Coromandel Express Accident: বাড়ি ফেরার ট্রেন ধরেছিলেন, শেষ পর্যন্ত ফেরা হল না সাগরের...
Coromandel Express Accident: নাগরাকাটা চা-বাগানে শোকের ছায়া। সকলেই চান, সরকার যাতে আহতদের সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করে। দুর্ঘটনাগ্রস্তের পরিবার এখন প্রার্থনা করছে, সবাই যাতে সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসতে পারেন!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাড়ি ফিরছিলেন তরুণ, শেষ পর্যন্ত ফেরা হল না। প্রাণ কেড়ে নিল করমণ্ডল। জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা ব্লকের নাগরাকাটা চা-বাগানের সাগর খেড়িয়া (৩০)। ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল সাগরের। আহত দু'জন। মৃতের বাড়ি চা-বাগানের ফুটবল লাইনে। আহতেরা হলেন ধরমনাথ সিং ও আমন ওঁরাও।
আরও পড়ুন: Coromandel Express Accident: গ্রামে পাকা বাড়ি তুলবে, কিন্তু আর ঘরে ফেরাই হল না ছোট্টুর...
জানা গিয়েছে এই তিনজন-সহ ১৪ জনের দলটি বৃহস্পতিবার বাড়ি ফেরার জন্য যশবন্ত-হাওড়া এক্সপ্রেস ধরেছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় আচমকাই বালেশ্বরের কাছে ট্রেনটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয় সাগর খেড়িয়ার। দুজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আমনের চিকিৎসা চলছে কলকাতার এক হাসপাতালে, ধরমনাথের চিকিৎসা চলছে স্থানীয় এক হাসপাতালে।
এ ঘটনায় নাগরাকাটা চা-বাগানে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের সকলেই এখন চান, সরকার যাতে আহতদের সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করে। দুর্ঘটনাগ্রস্তের পরিবারও প্রার্থনা করছে, সবাই যাতে সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসেন!
ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ভেঙে, দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের একাধিক বগি। হতাহত হয়েছেন বহু যাত্রী। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছন সকাল ৮টা নাগাদ। তার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সকাল ৯টায় রেলের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, শনিবার সকাল পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন ২৩৮ জন। তবে পরে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ে। এই মুহূর্তে মৃতের সংখ্যা ২৬১! আহতের সংখ্যা ৬৫০। তবে হতাহত আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা। তবে ওড়িশা সরকারকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছিল, শনিবার ভোর পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৩৩, আহত ৯০০ জনেরও বেশি!