নিজস্ব প্রতিবেদন: ই-মনোনয়নের উপর স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি, ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়ী হয়েছেন শাসক দলের যে সব প্রার্থীরা, তাঁদের নাম গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে অন্তর্ভূক্ত করতে নিষেধ করা হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। আগামী ৩ জুলাই ফের এই মামলার শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে। ফলে ততদিন পর্যন্ত ই-মনোনয়নের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে এবং গেজেট বিজ্ঞপ্তিতেও এইসব 'জয়ী' প্রার্থীদের নামও প্রকাশ করা যাবে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের যে আইন রয়েছে তা মেনেই নির্বাচন প্রক্রিয়া হওয়া উচিত। সেই আইনে ই-মনোনয়নের কোনও উল্লেখ নেই। ফলে, ই-মনোনয়ন কি গ্রাহ্য করা যায়, এদিন এই প্রশ্ন তুলেছেন খোদ দেশের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র। আরও পড়ুন-ই-মেলের মাধ্যমে জমা পড়া মনোনয়ন বৈধ, সিপিএমের দাবিকে স্বীকৃতি দিল আদালত


প্রধান বিচারপতির এমন মন্তব্য শুনে এরপর বিজেপি-র আইনজীবী জানান, রাজ্যের ৩৪শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়ী হয়েছেন শাসক দলের প্রার্থীরা। ফলে, বিষয়টি শীর্ষ আদালতের বিবেচনা করা উচিত। বিজেপির এই সওয়াল শুনেই এরপর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়ীদের নাম গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে অন্তর্ভুক্ত করতে নিষেধ করে আদালত। উল্লেখ্য, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশানুসারে শাসক দলের এই সব প্রার্থীদের ইতিমধ্যে জয়ের শংসাপত্র দিয়ে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন। কিন্তু, গেজেট বিজ্ঞপ্তি এখনও প্রকাশিত হয়নি, ফলে ৩ মে পর্যন্ত সেখানে এইসব 'জয়ী' প্রার্থীদের নাম নথীভুক্ত করতে নিষেধ করল আদালত। এই গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমেই জয়ী প্রথীদের নাম সরকারিভাবে জানানো হয়। আর সেই বিজ্ঞপ্তিতেই আগামী ৩ মে পর্যন্ত ব্রাত্য ওইসব প্রার্থীরা, ফলে তাঁরা আদৌ জয়ী কি না, এখন তা নিয়েই কার্যত প্রশ্ন উঠে গেল। আরও পড়ুন- আদালতের রায়ে কি বীরভূমে উল্টে যেতে পারে পঞ্চায়েত 'ভোটের ফল'?


এদিন আদালত আরও জানায়, ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাদের কোনও আপত্তি নেই এবং আগামী ৩ জুলাই ই-মনোনয়নের মামলা ফের শুনবে শীর্ষ আদালত। আরও পড়ুন- হাইকোর্টের রায়কে শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ কমিশনের, তড়িঘড়িতে আবেদনপত্রে গুচ্ছ ভুল