নিজস্ব প্রতিবেদন: 'আমি তো নাম বলিনি, ভাইপো  বলেছি। এত রাগের কী আছে'! তোলাবাজ ইস্যুতে নাম না করে ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কপালে হাত ঠেকিয়ে বললেন, 'বলছে বউকে নিয়ে টানাটানি করছে। আমরা মহিলাদের সম্মান করি'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভোটের বাংলায় চড়ছে রাজনীতির পারদ। প্রচারে দু'জনের বাকযুদ্ধে তুঙ্গে। একে অপরকে এক ইঞ্জিও জমি ছা়ড়তে রাজি নন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ও শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু কাঁথির জনসভায় অধিকারী বাড়ির ছেলেকে চ্যালেঞ্জ করতে গিয়ে কি শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ? অভিষেক বলেছিলেন, 'আমাকে বলছে এলে দেখে নেব। এই করব, সেই করব। আয় তোর বাপকে গিয়ে বল, বাড়ির ৫ কিলোমিটারের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি। যা করার কর। আয় হিম্মত আছে!' এই 'বাপকে বল'  হুঁশিয়ারির জবাবে 'বাংলার সংস্কৃতি' টুইটে পাল্টা খোঁচা দেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। এদিন নোয়াপাড়ার জনসভায় তিনি বলেন, 'তোলাবাজ বললে রেগে যাচ্ছে। আমি তো নাম বলিনি, তোলাবাজ ভাইপো বলেছি। এত রাগের কী আছে'। 


আরও পড়ুন: Nadda-র চা-চক্রে লোক কোথায়? Dilip বললেন, ‘অতিরঞ্জিত করবেন না


এর আগে বারুইপুরে এক জনসভায় আবার অভিষেকের (Abhishek Banerjee) স্ত্রী রুজিরা নারুলার প্রসঙ্গ টেনে এনেছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সভামঞ্চ থেকে রীতিমতো প্রমাণ দেখিয়ে দাবি করেন, গরু এবং কয়লা পাচারকাণ্ডে অনুপ মাঝি ওরফে লালার টাকা ব্যাংককে যায়। এমনকী, অভিষেকের স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কিছু নথিও পেশ করেন তিনি। এরপর অভিষেক বলেন, 'আমার বউকে নিয়ে টানাটানি করছে'।  জবাবে শুভেন্দু এদিন বললেন,  'আমরা মহিলাদের সম্মান করি। আমি তো শুধু বলেছিলাম, ম্যাডাম নারুলার অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়েছে। আপনার (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) বউ বা স্ত্রীর কথা বলিনি। রসিদ দেখিয়ে বলেছি, থাইল্যান্ডে টাকাকে ভাট বলা হয়। অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ ভাট জমা পড়েছে'।  সঙ্গে হুঁশিয়ারি, 'এবার লালার খাতা দেখাব'। উল্লেখ্য, কয়লা পাচারকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত এই লাল ওরফে অনুপ মাজি। তার সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই।


আরও পড়ুন: 'অনেককিছু করেও আসন পাইনি, ভোট এলেই মালদার অঙ্কটা বদলে যায়,' আক্ষেপ Mamata-র


বাদ যাননি তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, 'নেতাজি বলেছিলেন দিল্লি চলো। আর আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, চারটে রাজধানী চাই। দেশকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। এসব চলবে না, হারবেন, বিপুল ভোটে হারবেন'। ফের বার্তা দেন, 'কলকাতা ও দিল্লিতে একই দলের সরকার চাই। ডাবল ইঞ্জিন সরকার চাই। রাজ্যে ভালো করে পদ্ম ফোটাতে হবে'।